সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের পাশে ভারত সরকার থাকবে বলে আবারও অঙ্গীকার করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাক্ষাতকালে তারা এ বিষয়টি তুলে ধরেন।
আসাদুজ্জামান খান বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রণব মুখার্জি বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে সমর্থন করছি। ঢাকার গুলশানে ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর পরই ভারতের রাষ্ট্রপতি ওইসব হামলার কঠোর নিন্দা জানান এবং আশ্বস্ত করেন, নয়াদিল্লি ঘৃণা, বিশৃংখলা ও অস্থিতিশীলতা ছড়ানো এ জঙ্গিদের পরাস্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেবে।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করতেই কেবল দেশীয় জঙ্গিরা এসব হামলা করছে।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল আজীজ আহমেদ, কোস্টগার্ড প্রধান রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বৈঠকে অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংহিস কর্মকাণ্ড দমনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী এবং দৃঢ় পদক্ষেপের প্রতি সর্মথন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত একই রকমভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এ সময় আসাদুজ্জামান খান বলেন, অতীত থেকেই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ বাংলাদেশে তাদের ধর্মীয় আচার-উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়সহ সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও মানবিক অধিকার রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনায় যারা জড়িত তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাংলাদেশেই তারা লালিত-পালিত। এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান।
Leave a Reply