তিনি এ সংক্রান্ত প্রচার জোরদার করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ উপলক্ষে প্রদত্ত আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো দেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো অন্য যে কোনো বিকল্প খাদ্য খাওয়ানোর তুলনায় পরিবেশগতভাবে একটি টেকসই ও অন্যতম পদ্ধতি।
তিনি বলেন, মায়ের দুধ শিশুর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিশুর স্বাস্থ্য, উন্নয়ন ও বেঁচে থাকার মাঝে সংযোগ সাধন এবং পূর্ণ শিক্ষাগত সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা অর্জন নিশ্চিত করে।
এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬ এর প্রতিপাদ্য ‘শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো : টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চাবি-কাঠি!’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার মাতৃ ও শিশুপুষ্টি উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গত সাড়ে সাত বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
‘আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ৬ মাসে উন্নীত করেছি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিসে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা দেয়া হচ্ছে। মাতৃদুগ্ধ ও ঘরের তৈরি পরিপূরক খাবার কার্যক্রমকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করছি। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আমরা মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও এর ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, নতুন পুরাতন মিলিয়ে ৫৯৪টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে শিশুবান্ধব হাসপাতালে পরিণত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা, মাতৃদুগ্ধের বিকল্প শিশুখাদ্য এবং বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও এর ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-এর সঠিক ও কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলে আরো ভূমিকা রাখবে।
তিনি বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৬-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
Leave a Reply