প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ দেয়া হবে না।
সোমবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার সব জায়গায়ই এমন হামলা হচ্ছে। বাংলাদেশেও হয়েছে, যখনই হয়েছে আমরা ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়ে মোকাবেলা করেছি। করছি।
জনগণকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জঙ্গিদের বিষয়ে আপনারা সবাই তথ্য দেবেন। আমরা মোকাবেলা করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাদীদের রায়ও কার্যকর করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে। তারপরও এদের পেতাত্মারা-সন্তানরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তবে বাংলার মানুষ এখন সচেতন, তারা বিভ্রান্ত হবে না।
এসময় তিনি জিয়াউর রহমান ও এরশাদের সমালোচনা করে বলেন, আমার বাবার হত্যাকারীদের চাকরি দিয়েছে, ইনডেমনিটি দিয়ে খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে এরশাদ। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে তাদের সংসদে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরাজিত শক্তির দোসরদের নিয়ে তারা এখন আবার দেশকে খুন-খারাবির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন আর বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। তারা এখন সচেতন।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ দেয়া হবে না।
স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমি যখন দেশে ফিরে এসেছি, আমাকে এই বাড়িতে (ধানমন্ডির ৩২ নম্বর) ঢুকতে দেয় নাই। মিলাদ করতে দেয় নাই। রাস্তার উপর বসে মিলাদ করতে হয়েছে। তাও কত বাধা!
শেখ হাসিনা বলেন, সব হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের দোয়াই আমাদের পাথেয়। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এটা করবোই।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এদেশকে যেভাবেই হোক আমরা বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, বাবার বড় সন্তান হিসেবে আমি তার কাছ থেকে যতটুকু শিখেছি। তিনি কী করতে চেয়েছিলে, তার মুখে যতটুকু শুনেছি। সে অনুযায়ী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
Leave a Reply