গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার মূল পরিকল্পনাকারী জেএমবি নেতা তামিম চৌধুরী ও জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ড. জাবের পাটোয়ারী প্রমুখ।
আইজিপি বলেন, সাবেক (মূল) জেএমবি গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলায় জড়িত ছিল না। মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে জেএমবির একটি নতুন ভার্সন এই হামলা চালিয়েছে। তারাই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড। এ হামলাগুলো ওই দু’জনের নির্দেশনায় হয়েছে।
মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, আইজিপি বলেন, তারা দু’জন কোথায় আছেন সে বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। সেজন্যই তাদের তথ্য পেতে জনগণের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বিষয়ে তথ্য দিলে বা ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। তথ্যদাতার পরিচয়ও গোপন রাখা হবে।
তিনি বলেন, তামিম চৌধুরী নিউ জেএমবি’র নেতা। তিনি গুলশান হামলার আগে দেশেই ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার পরে তিনি বিদেশে চলে যেতে পারেন, যেহেতু জেএমবির অর্থায়ন বিদেশ থেকেই হয়। আর জিয়া আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সমন্বয়কের কাজ করেছেন।
আইজিপি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার তদন্ত করতে গিয়ে তারা অনেক তথ্য পেয়েছেন। শেওড়াপাড়া, কল্যাণপুর ও মিরপুর এলাকায় আরেকটি গ্রুপ হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে- এ তথ্য পেয়েই তারা ওইসব এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে কল্যাণপুরে যখন এই আস্তানার খবর পাওয়া যায়, তখন তাদেরকে আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটা গ্রহণ না করে যুদ্ধ করে পুলিশকে হত্যা করার ঘোষণা দেয়। এরপর পুলিশ সেখানে সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত, একজন গ্রেফতার এবং একজন পালিয়ে যায়।
Leave a Reply