জয়-পরাজয় নয় অংশগ্রহণই বড়—অলিম্পিকের মূল সুর এটাই। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপালের মতো দলের অ্যাথলেটরা তাই খেলার আনন্দেই অংশ নেয় অলিম্পিকে। তবে এবার ফিজি, বসনিয়া, হন্ডুরাসের মতো কয়েকটি দেশ স্বপ্ন দেখছে প্রথম অলিম্পিক পদকের।
কসোভো : ২৫ বছর বয়সী জুডো তারকা মালিন্দা কেলমেন্দি অলিম্পিকে কসোভোর পতাকা বইবেন। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও তিনবারের এই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নের হাত ধরে কসোভো প্রথমবার পেতে পারে অলিম্পিকের কোনো পদক। ৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেটা সোনা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ফিজি : ৯২ বছর পর রাগবি ফিরেছে অলিম্পিকে। আর রাগবি সেভেনে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল ফিজি। ১৯৯৭ ও ২০০৫ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারা। তাই অধিনায়ক ওসে কোলিনিসাওয়ের হাত ধরে অলিম্পিকে প্রথম পদকের আশা করতেই পারে ফিজি।
বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা : ১৯৯২ সালে প্রথমবার অলিম্পিক খেলে বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা। তখন আবেল তুকা ও লারিসা সেরিচের বয়স দুই বছর। এ দুজনকে ঘিরেই রিওতে প্রথম পদকের স্বপ্ন দেখছে ইউরোপের দেশটি। ২০১৫ বেইজিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটার দৌড়ে তৃতীয় হয়েছিলেন আবেল তুকা। জুডোয় ৭৮ কেজি ওজন শ্রেণিতে পদক জয়ের সম্ভাবনা আছে লারিসা সোরিচেরও।
সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস : সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের ৪০ বছর বয়সী স্প্রিন্টার কিম কলিন্সের ষষ্ঠ অলিম্পিক এটা। ২০০০ অলিম্পিকে সপ্তম আর ২০০৪ সালে তিনি হয়েছিলেন ষষ্ঠ। ৪০ বছর বয়সী প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ১০০ মিটার শেষ করেছেন ৯.৯৩ সেকেন্ডে। এই টাইমিংটা ধরে রাখতে পারলে অন্তত ব্রোঞ্জের আশা করতেই পারেন কলিন্স।
স্যান ম্যারিনো : গত লন্ডন অলিম্পিকে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল স্যান ম্যারিনোর ট্র্যাপ শ্যুটার আলেসান্দ্রো পেরিল্লির। নিজের প্রথম অলিম্পিকে প্লে-অফে হয়েছিলেন চতুর্থ। এবার অন্তত ব্রোঞ্জ জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারেন ২৮ বছর বয়সী পেরিল্লি।
রুয়ান্ডা : ১৯৯৬ অলিম্পিকে ১০০০০ মিটার দৌড়ে ম্যাথিয়াস নুয়ালিকুরার অষ্টম হওয়াটা রুয়ান্ডার সেরা পারফরম্যান্স। এবার তাঁকে ছাড়িয়ে ৫০০০ ও ১০০০০ মিটারে পদকের স্বপ্ন দেখছেন ১৮ বছর বয়সী স্যালোম নিরারুকুন্ডো। ১০০০০ মিটারে দেশটির জাতীয় রেকর্ড এই তরুণীরই।
জর্ডান : গত অলিম্পিকে জর্ডানের তায়কোয়ান্দোর ব্রোঞ্জটা অল্পের জন্য মিস হয় ইব্রাহিম কামালের। সেই আক্ষেপ এবার মেটাতে পারেন ২১ বছর বয়সী হুসেইন ইয়াশাহিস। ৯১ কেজি ওজন শ্রেণির বক্সিংয়ে এ বছর এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের অলিম্পিক বাছাই পর্বে পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ। তাহলে রিওতে নয় কেন? এএফপি
Leave a Reply