প্রকৃতিতে এমন কিছু ভেষজ উপাদান আছে কার সঠিক ব্যবহার জানলে আমরা সহজেই সুস্বাস্থ্য পেতে পারি। এছাড় দৈনিন্দন জীবনে বিভিন্ন অসুখ নিরাময় কিংবা প্রতিরোধেও আসে এসব উপাদান। এমনই একটি ভেষজ উপাদান হলো থানকুনি।
স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়, বাড়ির আনাচে-কানাচেতে জন্মে থানকুনি। এতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। বাজারেও খুব সহজলভ্য। চলুন জেনে নেয়া যাক নানাবিধ ব্যবহার।
* ক্ষত সারাতে থানকুটি পাতা অনেক কার্যকরী। পুরনো ক্ষতে পাতা সিদ্ধ করে পানিটা ক্ষতের উপর দিলে ক্ষত নিরাময় হয়। নতুন ক্ষতে পাতা বেটে ক্ষতের উপর লাগাতে হয়। চুলকানি ও খোস পাঁচড়া রোধে এই রস কাঁচাহলুদের রসের সাথে মিশিয়ে শরীরে মাখলে ভাল হয়।
* প্রায়ই ভুলে যাওয়ার সমস্যা থাকলে স্মৃতিশক্তিবর্ধক হিসেবে দুধে এক চামচ শুকনো থানকুনির গুড়ো গুলিয়ে খেলে অথবা থানকুনি পাতার রস দুই চামচ করে দুপুরের খাবার আগে খেলে উপকার হয়।
* চুল পড়া কমাতে ও তারুণ্য ধরে রাখতে এক গ্লাস দুধের সাথে ৫-৬ চা চামচ পাতার রস দিয়ে খেতে পারেন।
* ডায়রিয়া, আমাশয়,বদহজম ইত্যাদিতে এই পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ করে দিনে দুইবার খেলে পেট ভাল হয়।
* যাদের ডায়বেটিস আছে তারা থানকুনির রস দিনে দুইবার খেলে ভাল ফল পাবেন।
* রক্ত দূষণরোধে ৪ চা চামচ রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিলিয়ে এক সপ্তাহের মত খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
* দৃষ্টির অস্পষ্টতা রোধে শুকনো গরুর দুধের সাথে থানকুনির গুড়া ১/২ চামচ, ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
* জ্বর উপশমে থানকুনি পাতার রস অনেক উপকারী। প্রতিদিন সকালে এটি সেবনে জ্বর দ্রুত সেরে যায়।
* দাঁত ও মাড়ির রোগে থানকুনি পাতা সিদ্ধ পানি কুলকুচা করলে ভাল ফল হয়।
* থানকুনি পাতা শুকিয়ে এর গুড়া দিয়ে চা বানিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
Leave a Reply