কফির মতো অত্যন্ত গরম পানীয় হতে পারে ক্যানসারের কারণ। তবে এসব পানীয়ই সাধারণ তাপমাত্রায় গ্রহণ করলে এই ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তাছাড়া এতদিন পর্যন্ত কফিকে ক্যানসারের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও সাধারণ তাপমাত্রার কফি সেই ঝুঁকি বহন করে না। সম্প্রতি এমনই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসারবিষয়ক গবেষণা এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, সহস্রাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করেই ক্যানসারের সঙ্গে পানীয়ের তাপমাত্রার সম্পর্ক নিয়ে সতর্কবার্তা জানিয়েছে আইএআরসি। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চা বা কফির মতো পানীয়ের উপাদান নয়, বরং এর তাপমাত্রাই হতে পারে ক্যানসারের কারণ। পানীয়ের তাপমাত্রা ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর চেয়ে বেশি হলেই এই ঝুঁকি তৈরি হয়। গবেষক ডানা লুমিস বলেন, ‘পানীয়টি কি সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো এর তাপমাত্রা।’
খবরে বলা হয়, ১৯৯১ সাল থেকেই কফি বা কফির মতো দক্ষিণ আমেরিকান পানীয় মেটকে ক্যানসারের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়ে আসছে। এই দুই পানীয়ের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক নিয়ে এক হাজারেরও বেশি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। সেগুলোর সব বিশ্লেষণ করে আইএআরসি জানাচ্ছে, এই দুই পানীয়ের সঙ্গে ক্যান্সারের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে এই মন্তব্য কেবল ‘সাধারণ তাপমাত্রায় পরিবেশন করা’ কফি বা মেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিছু কিছু ক্যানসারের ক্ষেত্রে বরং কফির উপকারিতাও পাওয়া যায়। এদের পরিবেশন করার সময়ের তাপমাত্রাই তাই ক্যানসারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গবেষণায় বলা হয়েছে, পানীয়ের তাপমাত্রা ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে হলে তা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে অন্ননালীর ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন তাপমাত্রার পানীয়। চীন, ইরান, তুরস্ক বা দক্ষিণ আমেরিকায় প্রথাগতভাবেই ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় কফি বা মেট পরিবেশন করা হয়ে থাকে। আইএআরসির পক্ষ থেকে তাই এসব দেশসহ সব দেশেই কফি, মেট বা চায়ের তাপমাত্রা সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply