নিখোঁজের নতুন তালিকায় গোপালগঞ্জের দুই বোন রাবেয়া আক্তার টুম্পা ও সায়মা আক্তার মুক্তা সিরিয়ার গিয়ে আইএসে যোগ দিতে পারে।
এমন তথ্য জানিয়েছেন তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের করফায় গ্রামের লোকজন।
মঙ্গলবার আরও আটজন নিখোঁজ ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ওই দুই বোন রয়েছেন।
সূত্র জানায়, নিখোঁজের নতুন তালিকায় রয়েছেন রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় তাহমিদ রহমান সাফি, বারিধারা এলাকার ডা. আরাফাত-আল আজাদ, বনানী এলাকার হাছিব মোনাজ, সাভার আশুলিয়ার আবদুর রহমান মাসুদ, গাজীপুর শ্রীপুরের রিদওয়ান ইসলাম তুহিন, বগুড়ার তুরকিউর রহমান, গোপালগঞ্জের রাবেয়া আক্তার টুম্পা ও সায়মা আক্তার মুক্তা
এদিকে বুধবার করফায় গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই দুই বোনের পরিবারের কোনো সদস্য সেখানে থাকেন না। তাদের বাবার নাম মৃত ছলেমান শেখ।
স্থানীয়রা সন্দেহ করে বলেন, ‘ওই দুই বোন স্বামীর সঙ্গে বিদেশ যায়। সেখানে থেকে তারা সিরিয়ার গিয়ে আইএসে যোগ দিতে পারে।’
সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ছলেমান শেখের বাবার জমিতে কোনো ঘরবাড়ি নেই। দূর সস্পর্কের আত্মীয় আসাদ শেখ পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করেন। কাজের জন্য যশোরে অবস্থান করায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
তবে আসাদের স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ‘ছলেমান শেখ খুলনায় ব্যবসা করত। গ্রামের বাড়িতে তার জায়গা-জমি আছে। তিনি গ্রামে খুবই কম আসতেন। তার ছেলেমেয়েরা খুলনায় বড় হয়। পাকুড়তিয়া গ্রামের একেএম আবুল হাসনাতের ছেলে শরিফুল হক ইমনের সঙ্গে টুম্পা ও সাইফুল হক সুজনের সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ৩-৪ বছর আগে ছলেমান মারা যান। তাকে খুলনায় কবর দেওয়া হয়।’
পাকুড়তিয়া গ্রামের বায়োজিত মিয়া বলেন, ‘মুক্তার স্বামী সাইফুল হক সুজন গত বছর সিরিয়ায় আইএসের আস্তানায় রাশিয়ার হামলায় নিহত হন বলে সবাই জানে। এ ঘটনার পর সুজনের বাবা একেএম আবুল হাসনাতকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে সে জেলে আছে। তাদের গ্রামের বাড়িতে কেউ থাকে না।’
করফা সামসুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের হাওলাদার বলেন, ‘ছলেমানের ছেলেমেয়েরা জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কি-না তা আমার জানা নেই। তবে শুনেছি, তার ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। আর জামাতা সিরিয়ায় মারা গেছেন। বেয়াই জেলে আছেন।’
তিনি ধারণা করে বলেন, টুম্পা ও মুক্তা সিরিয়ায় যেতে পারে।’
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো. মাহামুদুল হক বলেন, ‘টুম্পা ও মুক্তার সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ার পাকুড়তিয়া ও করফা গ্রামের কারোর যোগাযোগ নেই। এরপরও আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’
Leave a Reply