রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়ন করছে সৌদি ফান্ড।
ফ্লাইওভারটির বর্ধিত অংশ নির্মাণে আরও ৫ কোটি সৌদি রিয়াল বা ১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা সমান)  অনুযায়ী এর পরিমাণ প্রায় ১১৭ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি ফান্ডের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি  হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং সৌদি এক্সপোর্ট প্রোগ্রামের মহাপরিচালক আহমেদ এম.আলগানান। এ সময়  বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ও সৌদি ফান্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রকল্পের আগে ২৫ কোটি সৌদি রিয়েল বা ৬ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে সৌদি ফান্ড। সংস্থাটির শর্ত অনুযায়ী এ ঋণের সুদের হার ২ শতাংশ। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে সরকারকে।

সৌদি ফান্ডের অতিরিক্ত অর্থায়ন দিয়ে এফডিসি গেট থেকে কাওরান বাজারের সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে ফ্লাইওভারের বর্ধিত অংশ। এর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪৫০ মিটার। এ অংশটি নির্মিত হলে এফসিডিসি রেলক্রসিং এলাকায় সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

প্রসঙ্গত: ২০১১ সালে মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ও তেজগাঁও এলাকার যানজট নিরসনে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এ সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে  প্রায় ৪৪৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বর্তমানে নতুন অংশ যুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি ফান্ড অতিরিক্ত অর্থায়ন করছে।

চুক্তি শেষে মেজবাহউদ্দিন বলেন, ‘সৌদ আরব ও বাংলাদেশ পরস্পর পরীক্ষিত বন্ধু। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় অতিরিক্ত অর্থ এফডিসি থেকে সোনারগাঁ হোটেল পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হবে। এটি যানজট নিরসনে সহায়তা করবে।’

এম আহমদ এম.আলগানান বলেন, ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা আমি নিজে দেখেছি। আশা করি এ  প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী উপকৃত হবেন। যানজট কমে আসবে’।

তিনি জানান, ১৯৭৫ সাল থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিশেষত সড়ক পরিবহন, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।