ক্যারিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) চতুর্থ আসরের ফাইনালে উঠলো সাকিব আল হাসানদের দল জ্যামাইকা তালাওয়াস। শাহরুখ খানের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে হারিয়ে তারা এই য্যোগতা অর্জন করেছে। সোমবার ভোর ৫টায় শিরোপার লড়াইয়ে তারা মাঠে নামবে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিওর্সের বিপক্ষে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে এই দলের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরে এলিমিনেটরে খেলে সাকিবরা। ত্রিনবাগোর বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেন্ট কিটসে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে আন্দ্রে রাসেলের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে জ্যামাইকা। জবাবে ত্রিনবাগো তিন ওভারে এক উইকেটে ১৮ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি থামার পর ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য তাদের টার্গেট দাঁড়ায় ১২ ওভারে ১৩০ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১১০ রান তুলতে পারে ত্রিনবাগো। আগের কয়েক ম্যাচে সাকিব মলিন থাকলেও এদিন বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখান। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই তিনি ১২রান দিয়ে ফেলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে ফেরান প্রতিপক্ষের তিনজন ব্যাটসম্যানকে। দলীয় ১১তমও সাকিবের দ্বিতীয় ওভারের প্রথমবলেই চার মারেন হাশিম আমলা। কিন্তু পরের বলে তাকে ফেরত পাঠান সাকিব। আমলা করেন ২৮ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান। পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান সুনীল নারাইন ছক্কা হাঁকান। কিন্তু ওভারের চতুর্থ বলে তাকেও ফেরত পাঠান সাকিব। আর ওভারের শেষ বলে শূন্য রানে ফেরান ডোয়াইন ব্রাভোকে। সাকিব দুই ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ত্রিনবাগোর পক্ষে ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন কলিন মুনরো। আমলা ও মুনরো ছাড়া এদিন ত্রিনবাগোর কোনো ব্যাটসম্যানের রান দুই অংকের কোঠা পার হয়নি।
এর আগে জ্যামাইকার হয়ে শুরুতে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ বলে ৩৫ রান করেন অধিনায়ক ক্রিস গেইল। ১ উইকেটে তারা ৫২ রান তুলে ফেলে। কিন্তু এরপর ১৫ রান যোগ হতেই তারা হারিয়ে ফেলে আরও ৩ উইকেট। কিন্তু এবার ব্যাটে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। সাকিবকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৮.৫ ওভারে ১০১ রান যোগ করেন তিনি। অবশ্য এই জুটিতে সাকিবের অবদান ২৩ বলে মাত্র ১৯ রান। তিনি রাসেলকে শুধু স্ট্রাইক দিয়ে যান। আর রাসেল ব্যাটে ঝড় তুলে ১১ ছক্কা ও ৩ চারে মাত্র ৪৪ বলে করেন ১০০ রান।
Leave a Reply