পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, আটক জঙ্গিদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। কোনো জঙ্গিকে আটক করলে বলে, ‘আমাকে মেরে ফেলেন। আমি জান্নাতে যাব।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানিয়ে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা থেকে তরুণসমাজকে বাঁচাতে আলেমসমাজের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি।
শহীদুল হক বলেন, একটি দেশে অন্য কোনো ধর্মের মানুষ থাকতে পারবে না—এটি অপপ্রচার। ইসলামি ব্যক্তি, আলেমসমাজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধে কাজ করতে হবে।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ কোনো স্থানীয় সমস্যা না। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গিরা মানবতার ওপর আঘাত হানে আর ব্লগাররা ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়া হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরী ও ব্লগার হত্যায় সন্দেহভাজন চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন আইজিপি। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তামিম ও জিয়া যেখানেই থাকুক, কেউ দেখলে বা সন্ধান পেলে যেন সরাসরি পুলিশকে জানায়। প্রয়োজনে তাঁর (আইজিপি) সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্যদাতাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পরিচয় গোপন রাখা হবে।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার পরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান আইজিপি। যে যে অবস্থানে আছে, সেখান থেকে জঙ্গিদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
‘আমার কাগজ’ নামের একটি দৈনিক পত্রিকার ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ‘জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস দমন: কমিউনিটি পুলিশিং ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য দেন সাংবাদিক আশফাকুজ্জামান। এতে অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, একুশে টিভির নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।
Leave a Reply