খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের মাধ্যমে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টি করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে শনিবার দুপুরে এক চুক্তি স্বাক্ষরের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। আমরা বিশ্বের মধ্যে খাদ্য উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে। ছোট এই আয়তনের দেশে ১৬ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে সরকার উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগের সময় মানুষ যাতে ভালোভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ধান, চাল সংরক্ষণ করতে পারেন, এ জন্যই সরকার মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন ৮টি খাদ্যগুদাম গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া পারিবারিক পর্যায়ে দুর্যোগপ্রবণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে ৫ লাখ পারিবারিক সাইলোও বিতরণ করা হবে। বর্তমানে ২০ লাখ টন খাদ্যশস্যে মজুদ করার গুদাম আছে। আগামী ২০১৮ সালে এটি ২৫ লাখ টন এবং ২০২৫ সালে ৩৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। মন্ত্রী বলেন, দেশ যখন খাদ্য শিক্ষা যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এই অর্জনকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হাজি মো. সেলিম, খাদ্যসচিব এ এম বদরুদ্দোজা ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের টাস্ক টিম লিডার ম্যানিয়েভেল সেন প্রমুখ।
Leave a Reply