প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের সন্তানদের নবগঠিত কমিটিতে রাখায় বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, এর মাধ্যমে বিএনপি সমগ্র জাতির সঙ্গেই প্রতারণা করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে ‘শ্রদ্ধা এবং ভালবাসায় স্মরণীয় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এই গ্রন্থটি প্রকাশ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এমন লোকদের দিয়ে তাদের নতুন কমিটি সাজিয়েছে যারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী। …একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদেরকেও কমিটিতে জায়গা দিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সমগ্র জাতির সঙ্গে, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন- সকলের সঙ্গেই প্রতারণা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে তাদের গঠনতন্ত্র দেখা উচিত- এতে কত জন আছে এবং কিভাবে কমিটি গঠন হবে, তা দেখা উচিত।’
কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি কি ধরনের রাজনৈতিক দল, তাদের কি কোন নীতি বা নিয়মতান্ত্রিকতা নেই? দেখা যাচ্ছে যে- এই কমিটি স্বার্থান্বেষী মহলের কমিটি ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা জাতিকে কি বা দিতে পারে।’
জেনারেল জিয়াই দেশে প্রথম যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসিয়ে পুনর্বাসিত করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার পরিবারও একই কাজ করে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করেন। তিনিই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে রুদ্ধ করে খুনিদের বিদেশে মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
বিএনপির কোনো গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য এবং নীতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতায় গিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি এবং এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করা।’
বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই মহীয়সী নারী বঙ্গবন্ধুকে জাতির গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রেরণা যোগাতেন।
তিনি বলেন, ‘৬ দফা আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল লড়াই-সংগ্রামে বঙ্গমাতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।’
সূত্র: বাসস।
Leave a Reply