সিলেটে শিল্পপতি ও ভূমি দখলকারী রাগীব আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার সকালে মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরু এ আদেশ দেন।
সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাতের আলোচিত দুটি মামলায় শিল্পপতি রাগীব আলীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাগীব আলী, তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির ও মেয়ে রুজিনা কাদিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ১০ জুলাই আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান।
সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, বুধবার অভিযোগপত্রের শুনানি তারিখ থাকলেও রাগীব আলী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে সময় প্রার্থনা করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গায় গড়ে ওঠা তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে তার আত্মীয় মোস্তাক মজিদকে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের এক বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। রায় বাস্তবায়ন করতে সিলেটের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়।
১৫ মে চা বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়া ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply