প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি আছে। আছে রিও দে জেনেইরোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার স্বস্তিও। দেশি অ্যাথলেটদের সঙ্গে অলিম্পিক ভিলেজে চেনা-জানা বিদেশি গলফারও আছেন অনেকে। সব মিলিয়ে রিওতে পদকের লক্ষ্যে নামার আগে স্বচ্ছন্দেই আছেন সিদ্দিকুর রহমান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আত্মবিশ্বাসী সিদ্দিকুর জানালেন, রিওর কোর্স আর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারায় এখন মূল লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৪টা থেকে গলফে পুরুষদের ইভেন্টের খেলা শুরু। দেশের প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জনের কৃতিত্ব দেখানো সিদ্দিকুর রিও অলিম্পিক গলফ কোর্সে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষণ গুণছেন অধীর আগ্রহ নিয়ে।
শুরুতে কন্ডিশন নিয়ে একটু-আধটু দুর্ভাবনা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা উড়ে গেছে। অচেনা দেশ ও কোর্সের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে সিদ্দিকুরের।
“এখানকার কন্ডিশন দারুণ। ২০ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। কন্ডিশন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কোর্সও বৃটিশ ওপেনের মতো; খুবই ভালো। আবহাওয়া বার্তা বলছে, প্রথম দিন মেঘাচ্ছন্ন ও ঝড়ো বাতাস থাকবে। বাকি তিন দিন ভালো থাকবে।”
এ বছর খেলার মধ্যেই ছিলেন সিদ্দিকুর। ব্রাজিলে রওনা দেওয়ার আগে গত জুলাইতেও থাইল্যান্ডে খেলেছেন কিংস কাপ। রিওর আসরের প্রস্তুতি নিয়েও খুশি তিনি।
“অন্যদের চেয়ে আমি বেশিই অনুশীলন করছি। খুব ভালো প্রস্তুতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো অনুভবও করছি।”
খেলার ছকও সাজিয়ে ফেলেছেন এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপা জেতা সিদ্দিকুর।
“খেলার কৌশলে পরিবর্তন করব না। আমি লং হিটার নই, তাই ‘ফোর পার’ -এর যেসব হোলের দুরত্ব বেশি, সেখানে আমাকে নিখুঁত পিচিংয়ের ওপর নির্ভর করতে হবে।”
দেশের প্রথম গলফার হিসেবে এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জেতার, বিশ্বকাপে খেলার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন সিদ্দিকুর। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে অলিম্পিকের মার্চ পাস্টে বাংলাদেশের পতাকাও ছিল তার হাতে। রিওতে চেনা-জানা অনেক গলফারের কাছ থেকে এ নিয়ে অভিনন্দনও পেয়েছেন তিনি।
“অনেকে আমাকে বলেছে, মার্চ পাস্টের সময় তারা আমাকে দেশের পতাকা হাতে দেখেছে। কোনো গলফারই এই বিরল সম্মান পায়নি।”
দুটি এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জেতা সিদ্দিকুর অলিম্পিক উপভোগের লক্ষের কথা জানিয়েছিলেন ব্রাজিলের পথে উড়াল দেওয়ার আগে। মাঠে নামার আগের সময়টা বেশ উপভোগও করছেন তিনি। এশিয়ান ও ইউরোপিয়ান ট্যুরের আসর খেলায় অনেক গলফারই আগে থেকে পরিচিত বলেও জানান সিদ্দিকুর, “অধিকাংশ গলফারই আমার চেনা। তারা ভীষণ আন্তরিক।”
তবে ১১২ বছর পর অলিম্পিকে ফেরা গলফের পদকের লড়াইয়ে নিদিষ্ট করে কাউকে ফেভারিট মনে হচ্ছে না সিদ্দিকুরের।
Leave a Reply