শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং রূপচর্চায়ও সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে হলুদ। অন্যদিকে দেহের সুস্থতায় গাজরের উপকারিতাও কিন্তু কম নয়। তবে যাই হোক না কেন, উপাদান দুটো আমাদের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্বকেরও সুরক্ষা দেয়। কিন্তু ত্বকের যত্নে যদি এই দুটো উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটানো যায় তাহলে মন্দ হয়না। সম্প্রতি রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হলুদ এবং গাজর প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতাই শুধু বাড়বে না, একইসঙ্গে ত্বকের অন্য সমস্যাগুলোরও সমাধান হবে।
যেভাবে প্যাকটি বানাবেন-
প্রথমে একটি বাটিতে গাজরের জুস তিন টেবিল চামচ ও হলুদ দুই চা চামচ নিন। এবার মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগান। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরিবর্তনটা নিজেই টের পাবেন।
যেসব উপকার পাবেন-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে
গাজর ও হলুদের এই প্যাকটিতে বিদ্যমান ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে ত্বকের কোষগুলো সুরক্ষিত রাখতেও ভূমিকা রাখে। ফলে সহজেই ত্বকের যে কোন ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়।
ব্রণ কমায়
প্রাথমিকভাবে ত্বকের যে কোন সমস্যা দূর করে এই প্যাক। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এ ও বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের সমস্যাগুলো সমাধানে ভালো কাজ করে। এছাড়া এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় তা ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে দেয়। ফলে দূষিত পদার্থ সহজেই বের হয়ে যায়। এতে ব্রণও কমে।
বলিরেখা দূর করে
গাজর এবং হলুদের প্যাকটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় তা ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এতে ত্বকের ইলাস্টিসিটি বেড়ে যাওয়ায় বলিরেখা প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা করে
সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয় গাজর ও হলুদের এই প্যাক। কালো ছোপ দাগ পড়াসহ ত্বক পুড়ে যাওয়ার হাত থেকেও বাঁচায় এটি। কাজেই ত্বকের সুরক্ষায় নিয়মিত প্যাকটি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
গাজর ও হলুদের এই প্যাকটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ত্বক হয়ে উঠে আরও কোমল।
অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে
হলুদ এবং গাজর এই প্যাকটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে লাল লাল ফুসকুড়ি, কাটা এবং পোড়ার মতো ত্বকের ছোটখাট সমস্যা সহজেই ভালো হয়।
Leave a Reply