যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সিলেটে। এমনটি জানালেন বঙ্গবন্ধুকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা প্রধান ও পুলিশের ডিআইজি মারুফ হাসান। সিলেটের মাঠে ফুটবল আয়োজনের অতীত অভিজ্ঞতা তিক্ততায় ভরা। কিন্তু এবারের আয়োজন সুষ্ঠুভাবে করতে চায় আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফে। অতীতের দুর্নামও ঘুচাতে চায়। বাংলাদেশ ছাড়াও দু’টি দেশের খেলোয়াড়রা সিলেটে আসছেন। সিলেটের মাঠে এটিই বড় আয়োজন। গ্রুপ পর্বের তিনটি ও একটি সেমিফাইনাল খেলায় জন্য নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে সিলেটকে। গতকাল বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নিরাপত্তা প্রধান মারুফ হাসান বলেন, সিলেটবাসী সহায়তা করলে নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব। এজন্য তিনি সিলেটবাসীর কাছে সহায়তা কামনা করেন। গতকাল নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে বাফুফের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেন। এই দলে নিরাপত্তা প্রধান পুলিশ কর্মকর্তা শেখ মারুফ হাসান ছাড়াও টুর্নামেন্ট সিরিমনি কমিটির প্রধান চৌধুরী শামসুল হক এমপি ও বাফুফের সেক্রেটারী আবু নাঈম সোহাগ ছিলেন। এছাড়া সিলেট মেট্রোপলিন
পুলিশের কমিশনার কামরুল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রোকন উদ্দিন, বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহি উদ্দিন সেলিম উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৯শে জানুয়ারি সিলেটেই হবে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উদ্বোধন করবেন। সিলেটে মাঠে কি পরিমাণ দর্শক ঠাঁই হবে- সেটি গতকাল পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের জানাননি। এবার সাধারণের জন্য ৮০ টাকা ও ভিআইপিদের জন্য ১৫০ টাকা হারে কাল থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আজ শনিবারের মধ্যে ঠিক হবে টিকিট সংখ্যা। সিরিমনি কমিটির প্রধান চৌধুরী শামসুল হক এমপি বলেন, সিলেটের মাঠ ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে। কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে। সেটি দু’এক দিনের মধ্যে শেষ হবে। তিনি বলেন, যেহেতু বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট এ কারণে এটি নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যকার খেলার মতো হবে না। এটি ভিন্নভাবে আয়োজন করা হচ্ছে। আগেভাগেই নিরাপত্তার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সিলেটবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সিলেটে অতীতে এর আগে এরকম টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়নি। এ জন্য সবাইকে সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। আর নিরাপত্তা কমিটির প্রধান ও ডিএমপি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মারুফ হাসান বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি শুরু হয়ে গেছে। ঢাকায় বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে না। সিলেটকেই নিয়ে আগেভাগে কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু সিলেটের নিরাপত্তার জন্য বাইরে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে আসা হবে। আর খেলা শুরু হওয়ার দুই ঘন্টা আগে স্টেডিয়াম এলাকার আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। তিনি বলেন, ২৭শে জানুয়ারি সিলেটে আসবে অতিথি দলগুলো। তাদের যাতায়াতসহ সামগ্রিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও নিয়োজিত থাকবে।
এসব বিষয় নিয়ে সিলেটে মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কামরুল আহসান জানান, যেহেতু অতিথি দলগুলো সিলেটে খেলতে আসবে। তাই শুধু স্টেডিয়াম এলাকায়ই নয় নগরজুড়ে থাকবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা।
এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
Leave a Reply