স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় অস্ত্রোপচার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটি শুরু হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৪০)। কেনসিংটনের বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালের শল্যবিদ অ্যান্ড্রু ওয়ালেস সফলভাবেই শেষ করেছেন মুস্তাফিজুর রহমানের বাঁ কাঁধের অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারে সময় লেগেছে ৫০ মিনিটের মতো। অস্ত্রোপচারের পর দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার কক্ষেই রাখা হবে মুস্তাফিজকে। এরপর নিয়ে যাওয়া হবে বেডে। আজ রাতটা হাসপাতালেই থাকবেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি এই পেসার।
এ ধরনের অস্ত্রোপচারের পর খেলায় ফিরতে সাধারণত পাঁচ-ছয় মাস লেগে যায়। তবে অস্ত্রোপচারের আগে অ্যান্ড্রু ওয়ালেস জানিয়েছেন, মুস্তাফিজ নেটে ফিরতে পারবেন ১২ সপ্তাহের মধ্যে। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীরও আশা, চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন মুস্তাফিজ। মাঠে ফিরতে পারবেন আগের মতোই দুর্বোধ্য বোলিং নিয়ে। অস্ত্রোপচারের সময় অস্ত্রোপচার কক্ষে ছিলেন তিনিও। ‘টেলিস্কোপ সার্জারি’ নামে পরিচিত এ ধরনের অস্ত্রোপচারে কাটাকাটি তেমন করতে হয় না। কাঁধ ও বাহুর সংযোগস্থলের সামনে ও পেছনে দুটি ছিদ্র করেই সারা হয় চোট সারানোর কাজ।
অস্ত্রোপচার লন্ডনে হলেও চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে মুস্তাফিজ পাশে পাচ্ছেন গোটা বাংলাদেশকেই। অস্ত্রোপচারের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে ফোন করে মুস্তাফিজের খবর নিয়েছেন। বাংলাদেশের এই তরুণ বিস্ময়-পেসারের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।
মুস্তাফিজকে সাহস জোগাতে বিসিবি সভাপতি সকাল থেকেই ছিলেন বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালে। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘বিসিবির কাছে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে সাকিব-তামিমদেরও অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে মুস্তাফিজ অনেক ছোট, অল্প কিছুদিন হয়েছে জাতীয় দলে খেলছে, তাই ওকে সাহস দেওয়ার জন্য এসেছি। ও আমাকে বলেছে, এমনিতে ভয় লাগে না, তবে সুই নাকি একটু ভয় পায়।’ হাসপাতালে আসেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার এম তালহাসহ আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
Leave a Reply