জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল বিউগলের করুণ সুর বাজান ও গার্ড অব অনার প্রদর্শন করেন।
সেখানে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সমাধিসৌধ সংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতে শরিক হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরাও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান এবং মিলাদ ও দোয়ায় অংশ নেন।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ৯টা ৫০ মিনিটে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।
এরপর তিন বাহিনীর চৌকশ দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রধান করেন।
সব কর্মসূচি শেষে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাড থেকে ঢাকার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট কালো রাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, মেজো পুত্র শেখ জামাল এবং তাদের স্ত্রী যথাক্রমে সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ২৮ সদস্য।
একই দিন ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু সুকান্ত বাবু, আরিফ, রিন্টু প্রমুখ।
ঘাতকরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যকেই হত্যা করে।
কিন্তু, দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। ঘাতকরা সেদিন বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরই কেবল হত্যা করেনি, বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। ৪১ বছর আগের সেই শোকাবহ দুঃসহ স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
Leave a Reply