বানের জলে ভেসে আসা বুনো হাতি বঙ্গ বাহাদুরকে দ্রুত উদ্ধার করতে না পারলে তার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে হাতিটি। কাদার মধ্যে পড়ে গেছে বঙ্গ বাহাদুর। ঢাকার বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, হাতিটি জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। এটাকে দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু শিকল ছেঁড়ার ভয়ে তাকে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া পায়ে শিকল নিয়ে এটি কাদার মধ্যে পড়ে গেছে। দ্রুত উদ্ধার করা প্রয়োজন। হাতি উদ্ধারে গাজীপুর থেকে যে তিনটি হাতি আসার কথা, তা এখনো আসেনি।
বন অধিদপ্তরের সাবেক উপপ্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, বঙ্গ বাহাদুরকে উদ্ধারে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে আরও তিনটি হাতি আনা হচ্ছে। বঙ্গ বাহাদুরকে গাজীপুরে নিতে এই তিনটি হাতিকে কাজে লাগানো হবে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতিটিকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হয়। পরে হাতিটিকে ধরে পায়ে ও শরীরে শিকল-দড়ি দিয়ে একটি আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে হাতিটি শিকল আর দড়ি ছিঁড়ে কাছের একটি জলাশয়ে নেমে পড়ে।
গত রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাতিটিকে দ্বিতীয় দফায় প্রথম চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু ওষুধের মাত্রা কম হওয়ায় হাতিটির অচেতন হতে দেরি হচ্ছিল। পরে আরও তিনবার চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কিছুক্ষণ ছুটোছুটির পর হাতিটি ঝিমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে হাতির পায়ে শিকল-দড়ি পরানো হয়।
ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বন্যার পানিতে ভেসে হাতিটি গত ২৮ জুন এ দেশে আসে। ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে যমুনা নদীর পানিতে ভেসে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের দুর্গম ছিন্নারচরে ১১ দিন অবস্থান করে। গত ২৭ জুলাই হাতিটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যায়।
Leave a Reply