ডেইলি চিরন্তন:সত্যিকার নেতা তারাই যারা দেশকে ভালোবেসে অকাতরে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও সংকল্পের বলেই কেবল তারা এ ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন। বিখ্যাত নেতারা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত জীবনে হয়ে উঠেন একেবারে নিঃস্বার্থ। তাদের চিন্তা কেবল একটাই, তাহলো- দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ। এ কারণেই বছরের পর বছর ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে। প্রতি বছর জাতিও বিনম্র শ্রদ্ধাভরে তাদের স্মরণ করেন। যাহোক, এসব বিখ্যাত নেতারা প্রতিদিন জন্মগ্রহণ করেন না। তাই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে তাদের শিক্ষাগুলো আমাদের মনের মধ্যে ধারণ করা উচিত।
চমৎকার নেতৃত্বের গুণেই বিখ্যাত নেতারা সবসময় স্মরণীয়। কাজেই তাদের জীবন, ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাধারা থেকে আমাদেরও শিক্ষণীয় নানা বিষয় রয়েছে। এক্ষেত্রে জেনে নিন বিখ্যাত নেতাদের কিছু গুণাবলী-
ধৈর্য্যশীল
ধৈর্য্যশীলতা বিখ্যাত নেতাদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। এর কারণেই তারা বাস্তব জীবনে অনেক সফল হন। এটি এমন একটি গুণ যেটি যে কোন পরিস্থিতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে আমাদের শান্ত থাকতে সাহায্য করে। এর ফলে পরবর্তীতে আমরা পরিস্থিতিটা আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ এবং এর একটা ভালো সমাধান বের করতে পারি। কাজেই জীবনে সফল হতে বিখ্যাত নেতাদের এ শিক্ষাটি আমরা নিতেই পারি।
অধ্যবসায়
জীবনে সফল হতে বারবার চেষ্টা করার বিকল্প নেই। এটিও বিখ্যাত নেতাদের আরেকটি বিশেষ গুণ। এ গুণটিও আমাদের ধারণ করা উচিত। বর্তমানে আমাদের বেশিরভাগই ব্যর্থতাকে ইতিবাচকভাবে নিতে পারিনা। এ কারণে পরে আর চেষ্টাও করিনা। এক্ষেত্রে বিখ্যাত নেতারা কিন্তু একেবারেই আলাদা। তারা কোন কাজে ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েন না। বরং বার বার চেষ্টা করেন। এ কারণে তারা জীবনে সফল হন। কাজেই এ শিক্ষাটাও আমরা তাদের কাছ থেকে নিতে পারি।
পরিকল্পনা
যে কোন কাজে তখনই সফলতা আসে, যখন ওই কাজের পরিকল্পনাটা অনেক ভালো হয়। শুরুতেই পরিকল্পনা সঠিক হলে সে কাজে সাফল্য অনিবার্য। পরিকল্পনা করে কাজ করাটাও বিখ্যাত নেতাদের আরেকটা গুণ। তাদের জীবন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সব কাজেই তারা পরিকল্পনা করে এগিয়েছেন।
লক্ষ্য স্থির
কোন বিষয়ে লক্ষ্য স্থিরই কেবল আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। আর বিখ্যাত নেতারা সবসময় এ কাজটাই করেন। মনে রাখবেন, লক্ষ্য স্থিরই কেবল আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। কাজেই এ শিক্ষাও আমরা বিখ্যাতদের কাছ থেকে নিতে পারি।
নম্রতা
বিখ্যাত নেতারা সবসময় অন্যদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বলেন। তারা সবসময় দেশ এবং জাতির ভালোর কথা চিন্তা করেন। এ কারণেই তারা সবার থেকে আলাদা। কাজেই এ গুণটিও আমাদের রপ্ত করা জরুরি।
দায়িত্বশীল
প্রত্যেক বিখ্যাত নেতাদের আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তারা দায়িত্বশীল। আর এ দায়িত্বশীলতার কারণেই তারা অন্যের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হন।
বিশ্বাসযোগ্য
দেশ কিংবা জাতি পাশাপাশি পরিবারের কাছেও বিখ্যাত নেতারা অনেক বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেন। তারা নিজেরা নিজেদের কাছেও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেন। তারা যা বলেন তা সবসময় করার চেষ্টা করেন। এ কারণে সারাজীবন তারা সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকেন।
তবে একথা সত্যি, সবাই নেতা পারে না। তবে বিখ্যাত নেতাদের মূল্যবান গুণাবলীগুলো অনুসরণ করে যে কেউ জীবনে একজন ভালো মানুষ হতে পারেন। তাই জীবনে সফল এবং ভালো মানুষ হতেই আমাদের বিখ্যাত নেতাদের বৈশিষ্ট্যগুলো রপ্ত করা উচিত।
Leave a Reply