ডেইলি চিরন্তন:রোদ কিংবা ধুলা-বালির হাত থেকে রক্ষা পাওয়াসহ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সানগ্লাস হলো একটি ফ্যাশন। ফ্যাশন সচেতন মানুষের চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে নানা স্টাইলের সানগ্লাস। ছেলে, মেয়ে প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল।
সানগ্লাস ওজনে হাল্কা হলে পরতে বেশ আরামদায়ক লাগে। আবার ভারি ফ্রেমের গ্লাস আমেরিকান আর্মি, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর জনপ্রিয়। আবার অন্যদিকে এডিডাস, ওকলে, কেলভিন ক্লাইনের সানগ্লাসও পছন্দ ক্রেতাদের। তবে তরুণ-তরুণীদের জন্য পছন্দের নামগুলো হলো- ডলসি অ্যান্ড গাব্বানা, পলিস, প্রাডা, জর্জিও আরমানি ইত্যাদি ব্র্যান্ড।
সব চেহারার সঙ্গে সব ধরণের চশমা মানায় না। তাই চশমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে যা যা মনে রাখতে হবে-
১। রং এবং আকৃতি,
২। আকার,
৩।বড় চেহারার জন্য বড় গ্লাস মানানসই,
৪। যাদের চেহারা ছোট তারা চিকন আকৃতি বেছে নিন,
৫। যাদের ত্বক গাঢ় তারা কালো, কফি, বাদামি রঙের গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন,
৬। যাদের গায়ের রঙ উজ্জ্বল তারা বেগুনি, সাদা, গোলাপি, লাল রংয়ের গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন,
৭। চুলের স্টাইলের ওপর গ্লাস ব্যবহার করুন,
৮। মেয়েরা রোদ চশমার সঙ্গে কপালে ফোঁটা লাগাতে পারেন,
৯। ঘরে প্রবেশের আগে অবশ্যই খুলে রাখুন,
১০। ভালো ব্র্যান্ডের সানগ্লাস ব্যবহার করুন
চোখের সুরক্ষায় রাস্তার ধুলাবালি, পোকা-মাকড় ও সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায় এই সানগ্লাস। আমাদের দেশে বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল আরোহী তরুণদের জন্য সানগ্লাস অত্যন্ত জরুরি। কারণ বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় বাতাসের ধুলাবালি এবং পোকা-মাকড় আমাদের চোখে এসে পড়তে পারে। আর এসব ধুলাবালি ও পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা করে সানগ্লাস। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের চোখের কর্নিয়ার ও রেটিনার দারুণ ক্ষতি করে। সানগ্লাস এই অতি বেগুনি রশ্মিকে শুধু আমাদের চোখ আসতে বাধা প্রদানই করে না বরং তা প্রতিহত করে। তাই সানগ্লাস শুধু ফ্যাশনে নয়, চোখের সুরক্ষায়ও প্রয়োজন।
Leave a Reply