রক্তের বন্ধন বড় কথা নয় হৃদয়ে ভালবাসা তো আছে। আছে সংস্কৃতির টান। দুইদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে পঞ্চগড়ের দুই সীমান্তে পালিত হলো ঐতিহ্যবাহী রাখি বন্ধন উৎসব।
বৃহস্পতিবার ভাইয়ের কপালে দিলামফোটা যমের দুয়ারে পড়ল কাটা এই প্রার্থনা নিয়েই ভারতীয় বোনেরা বাংলাদেশের ভাইদের হাতে রাখি পড়িয়ে দেয়। এরপর কপালে ভাই ফোটা দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়। প্রতিবছরের শেষ পূর্ণিমায় প্রাচীন কালথেকে ভারতে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
পঞ্চগড়ের সুকানী ও বাংলাবান্ধা সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে রাখিবন্ধন এই উৎসব পালিত হয়েছে। সীমান্তের উভয় বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে ভারতের বিএসএফের উদ্যোগে এই উৎসব পালন করা হয়। সকালে পঞ্চগড়ের দেবনগর ইউনিয়নের সুকানী সীমান্তের ৭৪৪ নং পিলারের কাছে কলকাতার দৈনিক জাগরণ পত্রিকার পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি হিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিজিবি সদস্যদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়। এর পর উপস্থিত ভারতীয় নাগরিকরা বিজিবি সদস্যদের ভাই ফোটা দিয়ে মিষ্টিমুখ করায়।
এদিকে দুপুরে বাংলাবান্ধা সীমান্তের ফুলবাড়ি ক্যাম্পে বিএসএফ’এর নারী সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয়। এরপর ভাই ভোটা দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়। এসময় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ এর সদস্যদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে বাংলাবান্ধা সীমান্তের ভারতের ফুলবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে ডাব গ্রাম ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যেগে রাখিবন্ধন উপলক্ষ্যে মহাউৎসব আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে পশ্চিম বঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যানমন্ত্রী জেমস খুজুর, শিলিগুড়ি বিএসফএর ডি আইজি আরসি সিং, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল আল হাকিম মোহাম্মদ নওশাদ, পঞ্চগড় চেম্বারস অব কমার্সের সহসভাপতি এটিএম কামরুজ্জামান শাহানশাহ বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply