ডেইলি চিরন্তন:প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে আমরা সবাই ব্রাশ করি। আর ব্যবহারের পর ব্রাশটি ধুয়ে পরের দিনের জন্য রেখে দেই। ব্রাশটি অনেকে ভালোভাবে ধুয়ে রাখলেও বেশিরভাগই আছেন যারা ব্যবহারের পর এটি যেনতেন ভাবে ফেলে রাখেন। এতে ব্রাশে নানা জীবাণু লেগে থাকে। যা পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংস্পর্শে এসে দাঁতের ক্ষতি করে। আবার ব্যবহারের পর ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে মুখের নানা জীবাণুও ব্রাশে লেগে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ব্রাশ ব্যবহারেও একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই দাঁতের সুরক্ষায় ব্রাশ সবসময় পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখা দরকার।
এক্ষেত্রে দাঁতের ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার ব্রাশ পরিস্কার এবং জীবাণু মুক্ত রাখতে পারেন। তবে শুধু ব্রাশ পরিষ্কার রাখলেই কিন্তু চলবে না, একইসঙ্গে সাবান দিয়ে হাত ধোয়াও কিন্তু সমান জরুরি।
এবার জেনে নিন ব্রাশ জীবাণুমুক্ত রাখার উপায়-
গরম পানি
ব্রাশ জীবাণুমুক্ত রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তা গরম পানি দিয়ে ধোয়া। প্রতিবার ব্যবহারের আগে ও পরে গরম পানি দিয়ে ব্রাশ পরিস্কার করলে তা সহজেই জীবাণু মুক্ত থাকে।
হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড
ব্রাশকে জীবাণুমুক্ত করার আরেকটি উপায় হলো হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের ব্যবহার। এজন্য প্রথমে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ব্যবহারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে ব্রাশটি এর মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন। পরে ব্রাশটি উঠিয়ে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। চাইলে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের পরিবর্তে মাউথওয়াশও ব্যবহার করতে পারেন।
ভিনেগার
ভিনেগার ব্যবহার করেও ব্রাশকে সহজেই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। এটি ব্রাশে লেগে থাকা জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চাইলে ব্রাশ পরিষ্কার রাখতে ফুটন্ত পানিও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক কাপ ফুটন্ত পানিতে ব্রাশটি ভিজিয়ে রাখুন। ভালো ফলাফলের জন্য ব্রাশটি তিন থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য কাপের পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
ব্লিচ
টুথব্রাশ পরিষ্কার রাখার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো ব্লিচ। এক্ষেত্রে ব্লিচ মিশ্রিত দ্রবণে ব্রাশটি ৩০ সেকেণ্ডের মতো ডুবিয়ে রাখুন। পরে ব্যবহারের আগে ব্রাশটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধুয়ে নিন।
বাসন পরিষ্কারক
ব্রাশ পরিষ্কার করার আরেকটি চমৎকার কৌশল হতে পারে বাসন পরিষ্কারকের ব্যবহার। ব্যাপারটি একটু দৃষ্টিকটু দেখালে তা কিন্তু ব্রাশটি গভীরভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে ব্রাশটি সহজেই জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়ামুক্ত হয়।
যদিও ব্রাশ পরিষ্কার রাখার নানা উপায় রয়েছে। তারপরও দাঁতের সুরক্ষায় প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপরই ব্রাশ বদল করা উচিত। এতে আপনার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আপনিও থাকবেন টেনশন মুক্ত।
Leave a Reply