হতে পারত অনেক কিছুই। সৃষ্টিকর্তা সহায় বলে অল্পের উপর দিয়েই ঘটে গেল ব্যাপারটা। ঘটনাটা জার্মানির। এক ব্যক্তি নগ্ন হয়ে গোসল করতে হ্রদে ডুব দিয়েছিলেন। তার পরেই অদ্ভুত এক অনুভূতি হয় তার। ব্যথা অনুভব করতে থাকেন তার গোপন অঙ্গে। বিষয়টা যখন উপলব্ধি করেন তখন তিনি বুঝলেন আর একটু হলেই তার পুরুষাঙ্গ বিসর্জন হয়ে যেতে পারে। গতি সুবিধার নয় দেখে সেই ব্যক্তি চিৎকার শুরু করেন। আর সেই চিৎকারেই এ যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
জানা যায়, হার্বার্ট ফেন্ড নামে এক ব্যক্তি দক্ষিণ জার্মানির কাইজারসি হ্রদে নেমেছিলেন গোসল করার জন্য। মাছ ধরার জন্য সেই সময়ে হ্রদের পানিতে ছিপ ফেলেছেন আরেক ব্যক্তি। সেই সময়েই ঘটে বিপত্তি। তার ফেলা ছিপেই আটকে যায় হার্বার্টের পুরুষাঙ্গ। প্রথমে বিষয়টা বুঝতেই পারেননি হার্বার্ট। ভেবেছিলেন, হ্রদের পানির নীচে থাকা আগাছায় বুঝি জড়িয়ে গিয়েছে তার পুরুষাঙ্গ। কিন্তু ঘটনাটা যে আদৌ তা নয়।
আসলে পাড়ে বসে থাকা ব্যক্তির ছিপেই জড়িয়ে যায় হার্বার্টের লিঙ্গ। পরিস্থিতি অন্য দিকে যে কোন সময়ে মোড় নিতে পারে আশঙ্কা করেই ভয়ার্ত চিৎকার জুড়ে দেন হার্বার্ট। পাড়ে বসে থাকা সেই মৎস্য শিকারীর উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘টান দিও না, টান দিও না।’ টান দিলেই যে ঘটে যাবে ভয়ঙ্কর ঘটনা! তার সেই চিৎকার কাজে আসে। মৎস্য শিকারী আর ছিপ ধরে টান দেননি। হার্বার্ট কোন রকমে সাঁতরে পৌঁছান পাড়ে। তার পরেই সাইকেলে উঠে দ্রুত পৌঁছে যান হাসপাতালে। তখনও তার লিঙ্গে যে জড়ানো ছিল ছিপ, তা বলাই বাহুল্য। চিকিৎসক তো হার্বার্টের এ রূপ দেখে হেসেই অস্থির। এরপর চিকিৎসক তার লিঙ্গে জড়িয়ে থাকা হুকটা সরিয়ে ক্ষতস্থানও পরিষ্কার করে দেন।
সূত্র: এবেলা
Leave a Reply