রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে শনিবার বিকাল ৪টায় গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,’রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। আমি তথ্য-প্রমাণ দিয়ে তা প্রমাণ করে দেব।’
শুরু থেকেই কিছু মানুষ রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অপপ্রচার চালিয়ে মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি শুরুতে অন্তরালে থেকে ইন্ধন যোগালেও পরে প্রকাশ্যে এ অপপ্রচারে যোগ দিয়েছে। বিএনপি নেত্রী এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
এর মধ্যে ‘ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বিএনপি নেত্রী যখন এ বিষয়ে কথা বলেন, তখন আমার মনে হলো- মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি।’
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে মূল্য ও প্রাপ্যতার বিচারের কয়লাই এখন নির্ভরযোগ্য জ্বালানি।’
এসময় বিদ্যুৎ উৎপাদনে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি, জনগণের উন্নয়ন করেছি। সরকার যে জনগণের সেবক, তা আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পেরেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্তত এ বিশ্বাসটুকু আমার ওপর রাখা উচিত যে, পরিবেশগত কোনো ক্ষতি হলে আমি এটি (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) হতে দিতাম না।’
সমালোচকদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার কিছু আসে যায় না। বেশি কথা বললে সব (বিদ্যুৎ প্রকল্প) বন্ধ করে দিলে আর বিদ্যুৎ পাবে না।’
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাড়িবহর নিয়ে যে লংমার্চ, সমাবেশ করছে, তার ফুয়েল (অর্থ) কোথা থেকে পাচ্ছেন? কে যোগান দিচ্ছে; অর্থ-কড়ি কোথা থেকে পাচ্ছেন?’
সংবাদ সম্মেলনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এবং বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্পের কয়েকটি ছবি তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ও ভিডিচিত্র দেখানো হয়।
এতে দাবি করা হয়, সুন্দরবন থেকে নিরাপদ (১৪ কিলোমিটার) দূরত্বে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অবস্থিত। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ফলে এতে সুন্দরবন ও এর আশপাশের এলাকায় পরিবেশগত কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
Leave a Reply