মানবতাবিরোধী অপরাধে ‘বাঙালি খান’ হিসেবে পরিচিত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যদিয়ে এই আলবদর কমাণ্ডারের চূড়ান্ত বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
এখন তার ফাঁসি কার্যকর করতে শুধু একটি ধাপ বাকি। তা হলো রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া।
তবে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাননি তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে আইনি লড়াই করেছি। তিনি (মীর কাসেম) প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কিনা আমার জানা নেই।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, প্রাণভিক্ষা না চাইলে রাষ্ট্র যেকোনো সময় মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করতে পারে।
মঙ্গলবার মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায়ের পর তাৎক্ষণিক এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই রায়ে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছে। আমি রায়ে সন্তুষ্ট, দেশবাসীও সন্তুষ্ট।
তিনি আরও বলেন, দণ্ড কার্যকরের আগে যুদ্ধাপরাধী কাসেমের শেষ আইনি সুযোগ ছিল রিভিউ আবেদন। তা খারিজের মধ্য দিয়ে আইনি লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি হয়েছে। এখন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে শেষ সুযোগে দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। আসামি তা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে সরকার দিনক্ষণ ঠিক করে কারা কর্তৃপক্ষকে ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশ দেবে।
তার আগে স্বজনেরা কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারবেন বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
Leave a Reply