একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃতুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শনিবার দুপুরের পর যে কোনো সময় সাক্ষাতে যাবেন তার স্বজনেরা।
শনিবার মীর কাসেমের স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যসহ নিকট আত্মীয়রা দুপুরের পর কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। তবে এটিই শেষ দেখা কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত করেননি খন্দকার আয়েশা খাতুন।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, কারা কর্তৃপক্ষ মীর কাসেম আলীর সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের দেখা করার জন্য ডেকেছেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে তাদের কারাগারে পৌঁছতে বলা হয়েছে।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ বেলা পৌনে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাসেম আলীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে তাদের ডাকা হয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেনি।
এদিকে আজ কারাগার এলাকাসহ কারাগার সড়কের সামনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারের সড়কে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ সকালে জানান, শুধু কাশিমপুর এলাকা নয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো গাজীপুর জেলায় নেয়া হয়েছে।
এ জন্য টঙ্গী, স্টেশন রোড, বোর্ড বাজার, ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা চৌরাস্তা, গাজীপুর শহর, রাজেন্দ্রপুর, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব এলাকায় সর্বাত্মক সতর্কতা বজায় রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাশিমপুর কারাগারের সমেনে মূল কারা ফটকে বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত কারারক্ষীর সংখ্যা।
কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশের প্রধান সড়কের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
গতকাল বিকালে মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না জানানোর পরই কারাকর্তৃপক্ষা ফাঁসি কার্যকর করতে সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
কারাকর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে রায় কার্যকর করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বাড়ানো হয়েছে কারা এলাকার নিরাপত্তা।
Leave a Reply