ডেইলি চিরন্তন:মহিমা চৌধুরী-র মন্তব্যে তোলপাড় টেনিস মহল। যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক তিনিই বা চুপ থাকেন কী করে? নিউ ইয়র্ক থেকে ইউএস ওপেনের ব্যস্ততার মধ্যেও মহিমার সব অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন লিয়েন্ডার পেজ। ফোনের এপারে সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়
১
মহিমার অভিযোগ
লিয়েন্ডার যখন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমায় ঠকিয়ে গেল, আমি কেন তার কথা ভাবব বলুন তো? তুমি ভাই যতই বড় টেনিস প্লেয়ার হও না কেন, তোমার কোনও অধিকার নেই কাউকে আঘাত করার।
লিয়েন্ডারের জবাব
মহিমা চৌধুরী কে? (তীব্র বিরক্ত হয়ে) ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, মহিমা… কিন্তু ওর সঙ্গে আবার রিলেশন কীসের? আমাদের মধ্যে কখনও কোনও সম্পর্ক ছিল না। আই মিন, সম্পর্ক বলতে যা বোঝায় এক জন পুরুষ আর নারীতে, তা ছিল না। আর ঠকানো? কী ভাবে ? কী বলেছে? গুজবে কান দেবেন না।
২
অভিযোগ
যে দিন শুনেছিলাম লি আমার আড়ালে সঞ্জয় দত্ত-র প্রাক্তন স্ত্রী রিহা পিল্লাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, সেই মুহূর্ত থেকে ওকে ঘৃণা করতে শুরু করেছিলাম। মনে হয়েছিল, এই ছেলেটা দেশের সেরা টেনিস প্লেয়ার হতে পারে, কিন্তু আমার প্রেমিক হওয়ার যোগ্যতা ওর নেই।
জবাব
ওটা নিছকই একটা গুজব। আর ওই যে বললাম না, গুজবে কখনও কান দেবেন না। সত্যিটা শুনুন তার বদলে। আমরা একটা সময়ে ভাল বন্ধু ছিলাম, ব্যস! তার বেশি কিছু নয়। স্রেফ ভাল বন্ধু।
দেখুন, সব জিনিসেরই শেষ আছে। একটা এক্সপায়ারি ডেট আছে। একদিন না একদিন সেটা শেষ হয়েই যাবে। বন্ধুত্বও তাই। আমাদের বন্ধুত্বও একদিন শেষ হয়ে গেছে। এই দুনিয়ায় একজনও বলতে পারবে যে, তার সব বন্ধুত্ব সারাজীবন অটুট থেকেছে?
সো… সব কিছুরই শেষ হয়ে যাওয়ার পিছনে কোনও না কোনও কারণ থাকে। এটারও আছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না। আর লোকে বলে, আমার ব্রেন টিউমার হওয়ার সময়, মহিমা অরল্যান্ডোয় আমায় সুস্থ করে তোলে। এটাও সম্পূর্ণ গসিপ। হ্যাঁ, ও এসেছিল। এক মিনিটেরও কম সময়ের জন্য। জাস্ট উইশ করে গিয়েছিল। তাও শুনেছিলাম, ঠিক ওই সময়েই অরল্যান্ডোতে ওর ছবির শ্যুটিং চলছিল। তবুও যে এসেছিল, সে জন্য আমি গ্রেটফুল!
ওই সময় মহেশ ভূপতির সঙ্গে আমার পেশাদার ট্যুরে সদ্য ব্রেক-আপ হয়েছিল। মহেশ কিন্তু আমার কাছে এসে ২-৩ দিন ছিল তখন। একটা কথা মহিমা ঠিকই বলেছে,
ইট ইজ আ ক্লোজড চ্যাপটার।
৩
অভিযোগ
ওর যে রকম মানসিকতা, তাতে সতীর্থদের সঙ্গে ফেয়ার গেম খেলা ওর পক্ষে সম্ভব নয়। ওর চরিত্র আমার পছন্দ হয় না এবং আমার ধারণা বাকিদেরও এ রকমই মত।
জবাব
একজন প্লেয়ারও দেখাতে পারবেন যে অন-রেকর্ড বলেছে, আমি টিম-ম্যান নই? ২৬ বছর তা হলে ভারতীয় দলে খেলতে পারতাম কি? আর আমার বন্ধু প্রচুর। মার্টিনা হিঙ্গিস আমার খুব ভাল বন্ধু। মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা শুধু কোর্টেই বন্ধু নন, আমার জীবনেরও একজন বিরাট বড় বন্ধু। শি ইজ মাই ফ্রেন্ড, গাইড, ফিলোজফার। আমার অনেক ভীষণ ভাল পুরুষ বন্ধুও আছে। রাদেক স্টেপানেক মিডিয়াতেও বলেছে যে আমি ওর স্টেপ-ব্রাদার। আমাদের মায়েরাই যা আলাদা! টিম বন্ডিং, লাইফ বন্ডিং না থাকলে
এসব হয় নাকি?
সুত্র-আনন্দবাজার
Leave a Reply