ঈদুল আযহার এখনো কয়েকদিন বাকি থাকলেও রাজধানীর বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেল স্টেশনে উপচেপড়া ভিড় দেখে বুঝতে বাকি থাকে না যে ঈদকেই ঘিরে চলছে বাড়িফেরা মানুষের শেষ মুহূর্তের ছোটাছুটি। গত কয়েকদিন থেকেই নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন রাজধানীবাসীরা।
আজ শুক্রবারও ট্রেন, লঞ্চ, বাস টার্মিনালে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের স্রোত। লক্ষ্য আপন ঠিকানায়, স্বজনদের উষ্ণ সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন। যানবাহনে জীবনের ঝুঁকি কোনো কিছুই আটকাতে পারছে না ঘরমুখো নগরবাসীকে।
আজ থেকে টানা ৬ দিন সরকারি ছুটি। মাঝে একদিন (১৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি অফিস খোলা থাকলেও এদিন অনেকেই ছুটি নিয়েছেন। ফলে আরও তিনদিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি অনেক কর্মকর্তা।
বাড়ি ফেরার মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে কমলাপুর স্টেশন যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রতি বছর রেলে যে ভিড় হয় তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। কমলাপুর রেল স্টেশনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের ছিল ভিড়। তবে আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় বলে জানায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর স্টেশনে দেখা গেছে, ঘরমুখো মানুষের ভিড়। কেউ পরিবার নিয়ে আবার কেউ একাই আসছেন এক বা একাধিক ব্যাগ নিয়ে। ভিড়ে মধ্যে কষ্ট হলেও বাড়ি যাওয়ার আনন্দ সবার চোখেমুখে। এদিকে প্রধান ফটকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সন্দেভাজনদের তল্লাশি করছেন।
সকালে কমলাপুর রেল স্ট্রেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু, খুলনাগামী সুন্দরবন এবং চট্টগ্রামগামী সোনারবাংলাসহ অন্যান্য ট্রেন মোটামুটি ঠিক সময়েই ছেড়ে যায়। এসব ট্রেনে ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদেও চড়েছেন অনেকে।
স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘এবার যাত্রী সেবা দিতে ট্রেনের সংখ্যা ও বগি বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এবার ট্রেনে কোনো শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে না। সময়মতো যাতে ট্রেনগুলো স্টেশন ছেড়ে যেতে পারে সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।’
এদিকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালেও মানুষের স্রোত শুক্রবার সকাল থেকে। একই অবস্থা সদরঘাট লঞ্চঘাটেও। বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বাসের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেককে বাসের ছাদে এমনকি ট্রাকে চড়তেও দেখা গেছে।
Leave a Reply