উপমহাদেশে অতীতের দুটি অভিজ্ঞতা শঙ্কিত করে তুলেছে ওয়েন মর্গ্যানকে। যার একটি আবার বাংলাদেশেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়কের বাংলাদেশ সফরে না আসা প্রায় নিশ্চিত।
কদিন আগে মর্গ্যান বলেছিলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে। সেই সিরিজ শেষ। আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানোর আগে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন নিজের শঙ্কার কথা; তাতেই পাওয়া গেল ইঙ্গিত।
“ব্যক্তিগতভাবে সবাই চায় স্বস্তিতে থেকে ক্রিকেটে মন দিতে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আগেও এমন হয়েছে যেখানে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে এবং এক বা দুবার সেটি হয়েছে নিরাপত্তাজনিত কারণে। তখন আমি নিজেকেই বলেছিলাম যে এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে আর ঠেলে দেব না।”
দুটি ঘটনার কথা আলাদা করেই বলেছেন মর্গ্যান। একটি ২০১০ সালে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার সময়। আরেকটি অভিজ্ঞতা ছিল বাংলাদেশেই; গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের হয়ে ২০১৩ সালে খেলতে এসেছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। বাংলাদেশে তখন চলছিল নির্বাচন পূর্ব রাজনৈতিক অস্থিরতা।
“২০১০ সালে আইপিএলের ম্যাচ খেলছিলাম বেঙ্গালুরুতে, মাঠের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। আমরা খুব দ্রুতই মাঠ ছেড়ে সরাসরি চলে যাই বিমানবন্দরে। সেটি একটি ঘটনা; আরেকটি ছিল বাংলাদেশে। খেলতে গিয়েছিলাম ঘরোয়া ক্রিকেটে। নির্বাচনের সময় তখন পরিস্থিতি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের ভয়াবহ।”
আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচের আগে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে দুটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। আহত হন অন্তত ১৫। ৪৫ মিনিট দেরিতে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হয়েছিল। তবে ওই ম্যাচের পর বেঙ্গালুরু থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বাকি ম্যাচগুলো।
আর ২০১৩ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে ঢাকা লিগে গাজী ট্যাংকের হয়ে মর্গ্যান খেলেছিলেন ৫টি ম্যাচ।
ইসিবি পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস কদিন আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশ সফরে টেস্ট-ওয়াডে দুই সংস্করণেই নিয়মিত অধিনায়ককে পেতে চান তারা। কোনো ক্রিকেটার সফরে না গেলে ভবিষ্যতে দলে তাদের জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
তবে এসবেও যে মর্গ্যান বাংলাদেশে আসতে রাজি হবেন না, সেটার ইঙ্গিত মিলে গেছে ওয়ানডে অধিনায়কের আরেকটি কথাতেই।
“দলে এমন অনেকেই আছে যারা এই ধরনের পরিস্থিতিতে আগে কখনোই সফর করেনি। আরেকটা ব্যাপার হলো, ওই সন্ত্রাসী হামলার (গুলশান হামলা) পর কোনো দলই এখনও বাংলাদেশে সফর করেনি, এ বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে আরও প্রভাবক হবে।”
Leave a Reply