পঞ্চম রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)-এ যোগ দিতে কানাডা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মন্ট্রিলের পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।এ সময় কানাডার একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং অটোয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
পরে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল ওমনি মন্ট-রয়েল-এ নিয়ে যাওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানে অটোয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
এরআগে লন্ডনে যাত্রাবিরতি শেষে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী কানাডার কুইবি প্রদেশের মন্ট্রিলের উদ্দেশে রওনা দেন।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে এয়ার কানাডার ফ্লাইট এসি-৮৬৫ হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এ সময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার মোহাম্মদ তালহা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
জিএফ হচ্ছে এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কার্যক্রম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থা। এই ফান্ড গোটা বিশ্বে বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে এসব রোগ বড় ধরনের বোঝা হয়ে ওঠেছে, সেখানে গুরুত্ব দিয়ে নানা কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়ে থাকে।
১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলন ২০৩০ সালের মধ্যে এই সব ঘাতক ব্যাধির ব্যাপক বিস্তাররোধে আরও বেশি কার্যক্রম গ্রহণে বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ক নেতৃবৃন্দকে এক মঞ্চে নিয়ে আসবে।
শেখ হাসিনা ১৬ সেপ্টেম্বর রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লিজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় যোগদান করবেন।
তিনি হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন।
শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক দাইবালের সঙ্গে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
ওইদিনই তিনি ‘রিমোভিং বেরিয়ার্স টু হেলথ থ্রো এমপাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যান্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জি-নালাইজড’ ও ‘এনগেজিং অ্যান্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক দুটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানন্ত্রী ও কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। পরে তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন এবং তার হাতে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ও অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোকে (জাস্টিন ট্রুডোর পিতা) মরণোত্তর এই পুরস্কার প্রদান করে।
শেখ হাসিনা ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন ও অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটযোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে মন্ট্রিল ত্যাগ করবেন।
Leave a Reply