ক্যামেরনরাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচন–পূর্ব টিভি বিতর্ক নিয়ে আবারও গোঁ ধরেছেন ক্যামেরন। এবার তিনি বলছেন, টিভি চ্যানেলগুলোর দ্বিতীয় প্রস্তাবে নর্দান আয়ারল্যান্ডের কোনো দলকে রাখা হয়নি। যুক্তরাজ্যের একটি অংশকে বাদ রেখে এ বিতর্ক সঠিক হবে না বলে মনে করেন তিনি।
আগামী ৭ মে দেশটিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের নিয়ে সরাসরি বিতর্ক আয়োজনে চেষ্টা করে যাচ্ছে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল। প্রথমে তারা যুক্তরাজ্যের প্রধান চারটি রাজনৈতিক দলের নেতাকে বিতর্কের প্রস্তাব দেয়।
ইউকে ইনডিপেনডেন্ট পার্টিকে (ইউকিপ) যখন বিতর্কে রাখা হলো সমপর্যায়ের দল গ্রিন পার্টিকে কেন রাখা হল না, এমন অজুহাতে ক্যামেরন ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর গত সপ্তাহে দেওয়া দ্বিতীয় প্রস্তাবে চ্যানেলগুলো গ্রিন পার্টিকে যুক্ত করার পাশাপাশি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) এবং ওয়েলস ন্যাশনালিস্ট প্লেইড কিমরু দলকে অন্তর্ভুক্ত করে। এবার ক্যামেরন বলছেন, টিভি চ্যানেলগুলো গ্রিন পার্টির পাশাপাশি স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের দলকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। কিন্তু নর্দান আয়ারল্যান্ডের কোনো দলকে রাখেনি। যুক্তরাজ্যের একটি অংশকে বাদ দিয়ে বিতর্ক সঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন। একই সঙ্গে তিনি বলছেন, নির্বাচনের মূল প্রচারণা শুরুর আগেই এই টিভি বিতর্ক শেষ করতে হবে। কেননা ২০১০ সালের নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত বিতর্ক মানুষ বেশ উপভোগ করলেও ওই বিতর্ক নির্বাচনের বাকি প্রচারণাকে মাটি করে দিয়েছিল।
ক্যামেরন ছাড়া অন্য দলগুলোর নেতারা যেকোনো ফরম্যাটে বিতর্কে অংশ নিতে রাজি বলে জানিয়েছেন। বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড বলেছেন, ক্যামেরনের চেয়ার খালি রেখে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হলেও তাঁর আপত্তি থাকবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত ক্যামেরন টিভি বিতর্কে অংশ নেবেন। কিন্তু তাঁর আগে এই বিতর্ক নিয়ে তিনি আরও বিতর্ক চালিয়ে যেতে চান। তারপর তিনি দাবি করবেন, টিভি বিতর্কের নামে সৃষ্ট বিতর্কের ফলে রাজনীতির আসল ইস্যুগুলো চাপা পড়ার যে আশঙ্কা তিনি করেছিলেন, তা সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী ২, ১৬ ও ৩০ এপ্রিল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছিল, কোনো দল প্রস্তাবে রাজি না হলে তাদের বাদ রেখেই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এখন দেখার বিষয় টিভি চ্যানেলগুলো সেদিকে আগায় কি না।
Leave a Reply