হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলে খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেন।
সমাবেশে সভাপতির ভাষণে শাজাহান খান বলেন, চলমান হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের পানি ও বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়া হবে। হরতাল অবরোধে যেসব গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সেসব গাড়ি নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দেশবিরোধী নাশকতামূলক কর্মসূচি প্রত্যাহার করার আহবান জানান।
সমাবেশে ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধে শ্রমিক-কর্মচারীদের হত্যা, যানবাহনে আগুন ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, শনিবার ৩১ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী বিক্ষোভ সমাবেশ, ৩ ফেব্রুয়ারি সব জেলা শহরে শ্রমিক-কর্মচারীসহ সকল পেশার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ।
এছাড়া ৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত সব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, এসময় গাড়ি, লঞ্চ-স্টিমার ও যানবাহনে টানা ১৫ মিনিট হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। সব দোকানদারকে নিজ নিজ দোকানের সামনে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান করা হয়। কৃষকদেও নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে বলা হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবীসহ সব শ্রেণি পেশার নারী, ছাত্র ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ জাতীয় কনভেনশন করবে।
শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মহাসমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, চলচ্চিত্রকার কাজি হায়াৎ, নারী নেত্রী শিরিন আখতার এমপি বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply