শুদ্ধ বোলিংয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানি। আর এতেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শুক্রবার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন বৈধ ঘোষণা করেছে। এতে এখন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে আর কোনো বাধা রইলো না।
এদিকে তাসকিন এবং আরাফাত সানি বোলিংয়ে ছাড়পত্র পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অসংখ্য টাইগার ক্রিকেটপ্রেমী। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তাসকিন-সানির সতীর্থ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম লেখেন, ‘তাসকিন এবং সানি ভাইয়ের বোলিং অ্যাকশন বৈধ। খুশি না হয়ে পারলাম না। আলহামদুলিল্লাহ। স্বাগতম।’
আরেক ক্রিকেটার আনামুল হক বিজয় তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আরাফাত সানি এবং তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন বৈধ।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘ওকে । তাসকিন এন্ড সানি। লিগ্যাল বয়েজ। ( দেখেন কি এক সমস্যা । আমি এই স্ট্যাটাস শেষ করতে চাইছিলাম “মেশিন চলবে ” দিয়ে । কিন্ত পারলাম না।)’
সিরাজুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক লেখেন, ‘আপাতত খুশি। তবে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে আবার কী করে আইছিছি! তা নিয়ে শংকায় আছি।’
নাজিব বেগ নামের এক সাংবাদিক লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ।। তাসকিন, সানি সব বিষয়ে লেটার পেয়ে, কৃতিত্বের সহিত পাস করিয়াছে।। গ্রেট নিউজ।’
যোবায়ের আহসান জাবের নামে এক সাংবাদিক তার ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আগে নানা ছুঁতোয় নিষিদ্ধ। বিশ্বকাপ শেষে খালাস। মাঠের বাইরেও তুমি অনেক খেলো আই ছি! ছি!!’
প্রসঙ্গত, গত মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন এবং সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন আম্পায়াররা। পরে বিশ্বকাপ চলাকালেই তাদের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নেয় আইসিসি। এরপর অ্যাকশনে সমস্যা ধরা পড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্বকাপ চলাকালেই নিষেধাজ্ঞার খরগ নিয়ে দেশে ফিরতে হয় তাসকিন-সানিকে।
পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন এ দুই বোলার। পরীক্ষা মূল্যায়ন করে দেখা গেছে, আরাফাত সানি এবং তাসকিনের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁক নেয় না। যা আইসিসির দেয়া নিয়মের বাইরে নয়। তাই তাদের বোলিং অ্যাকশন সম্পূর্ণ বৈধ ঘোষণা করছে আইসিসি। তবে ভবিষ্যতে যদি আম্পায়াররা তাদের অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তাহলে আবারও পরীক্ষা দিতে হবে তাসকিন-সানিকে।
Leave a Reply