কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ দিনের সফরশেষে শুক্রবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এমিরেটসের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ডুলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল ছিটিয়ে সংবর্ধনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংবর্ধনা কর্মসূচি সফল করতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, সংবর্ধনা সফল করতে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, কুড়িল ফ্লাইওভার, হোটেল রেডিসন, কাকলীর মোড়, বনানী, জাহাঙ্গীর গেইট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণী, সামরিক জাদুঘর, জাতীয় সংসদ ভবন মোড় হয়ে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের জনগণ।
এবার নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অফ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া কানাডায় ‘ফিফথ রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)’ ও যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সফল নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।
গণসংবর্ধনা সফল করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত দীর্ঘ পথে ৮টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সর্বস্তরের জনগণ সংবর্ধনা দেবে।
খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার পর্যন্ত গণসংবর্ধনায় নেতৃত্ব দেবেন কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি ও এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপি।
কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে হোটেল রেডিসন পর্যন্ত থাকবেন আসলামুল হক আসলাম এমপি ও ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লা এমপি।
হোটেল রেডিসন থেকে চেয়ারম্যান বাড়ী, মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকায় থাকবে বনানী, গুলশান থানা আওয়ামী লীগ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সর্বস্তরের জনগণ।
মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত থাকবেন জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি ও আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সর্বস্তরের জনগণ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, ঢাকা মহানগর ১৪ দল, স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদ, ডাক্তার ও নার্সবৃন্দ থাকবেন। সড়ক পরিবহন অফিস থেকে র্যাংগস ভবন পর্যন্ত ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা থাকবেন।
র্যাংগস ভবন থেকে নভোথিয়েটার পর্যন্ত নেতৃত্ব দেবেন কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি। নভোথিয়েটার থেকে সামরিক জাদুঘর এলাকায় থাকবেন হাবিবুর রহমান মোল্লা এমপি ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি।
সামরিক জাদুঘর থেকে সংসদ ভবন মোড় পর্যন্ত এলাকায় নেতৃত্ব দেবেন রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সংসদ ভবন মোড় থেকে গণভবনের দিকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি ও হাজী মো. সেলিম এমপি নেতৃত্ব দেবেন।
এছাড়া গণভবনের সামনে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি সংবর্ধনায় নেতৃত্ব দেবেন।
Leave a Reply