সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাবি ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসের মস্তিষ্কে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খাদিজাকে বাঁচানোর সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় বলে জানান তার চাচা আব্দুল কুদ্দুস।
অস্ত্রোপচার শেষে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল খাদিজার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেন।
এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তাকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তবে ৭২ ঘন্টা পর্যবেক্ষণের পরই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে।
এর আগে খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস জানিয়েছিলেন, ঢাকায় আনার পরেই তার সিটিস্ক্যান করা হয়। সিটিস্ক্যান দেখে ডাক্তাররা জানিয়েছেন অপারেশন করা যাবে, কিন্তু বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ। তবে অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গেলেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে না।
সোমবার রাতেই খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার পরীক্ষা শেষে কলেজ থেকে বের হলে খাদিজাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে বদরুল। পরে স্থানীয়রা ছাত্রলীগ নেতা বদরুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
তার এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বদরুলকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বদরুলের শাস্তি দাবিসহ ৩ দফা দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply