চাপাতির কোপে গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তারের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের আশাবাদ হয়তো বেঁচে যাবেন খাদিজা।
শনিবার দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে পূর্ব নির্ধারিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ব্রিফিংয়ে স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ড. এ এম রেজাউল সাত্তার বলেন, ‘খাদিজা কনসাস নয়। তবে ব্যথা দিলে রেসপন্স করছে। ব্যথা দিয়ে দেখেছি, তাকাচ্ছে। ডান হাত ও পা নাড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, সে এখনো কনশাস না। চিকিৎসা দিয়ে তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার চেষ্টা চলছে। হয়তো এ যাত্রায় খাদিজা বেঁচে যাবেন।
এসময় স্কয়ার হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের পরিচালক ডা. মীর্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, খাদিজা যদি বেঁচে যায় তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে সে আর আগের জীবনে ফিরতে পারবে না।
এসময় তিনি আরও বলেন, মাথায় আঘাতের ৪ ঘণ্টার ভেতরে যদি তাকে উন্নত চিকিৎসার আওতায় আনা যেত তাহলে হয়তো তার খুব একটা ক্ষতি হতো না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকালে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ও বদরুল আলম।
এ সময় সে চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাত পান। পরে খাদিজার সহপাঠী ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
একই সঙ্গে স্থানীয়রা খাদিজাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার ভোরে খাদিজাকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় বদরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া খাদিজাকে কোপানোর কথা স্বীকার করে গত বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বদরুল।
Leave a Reply