উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, ১২টি ঋণ ও কাঠামো চুক্তি হয়েছে। বাকিগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সমঝোতা।
ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ব্লু ইকনোমি বাস্তবায়ন ও ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সমঝোতা স্মারকে।
এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল কক্ষে বৈঠকে অংশ নেন দুই নেতা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সহায়ক হবে। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে তাদের মধধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বড় প্রকল্পগুলোতে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি তিনি বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের বিষয়ে একমত হয়েছি।’
চীনের সহযোগিতা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে শি জিনপিংয়ের এই ঢাকা সফর বলে জানা গেছে। চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের এ সফরকে সম্পর্কের ‘নতুন যুগের সূচনা’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিকাল ৫টার পর চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
Leave a Reply