ডেইলি চিরন্তন:তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার ছাড়া আমরা অচল। আজ কেবল অফিস আদালতেই নয়, বরং আনন্দ এবং বিনোদনের খোরাক হিসেবেও মানুষ ব্যবহার করছে এই কম্পিউটার। অনেকে আবার বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস বিশেষ করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট প্রভৃতি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন। একটানা এসব জিনিস ব্যবহারে নানা সমস্যা হতে পারে। মনিটর থেকে সঠিক দূরত্বে না বসলে কিংবা অতিরিক্ত বা কম আলোতে চোখের নানা সমস্যাসহ ঘাড় ব্যথা হতে পারে। কাজেই নিয়ম জেনে এসব জিনিস ব্যবহার করুন ৷ এতে করে শারীরিক নানা সমস্যা এড়ানোর পাশাপাশি কাজ করাও সহজ হবে।
কাজেই জেনে নিন কম্পিউটার ব্যবহারে খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়-
কতটা দূরত্বে বসবেন?
কম্পিউটারের খুব বসে থেকে কাজ করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই মনিটর থেকে কমপক্ষে ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বসে কাজ করুন। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনি ৭৫ সেমি. দূরত্বে কাজ করেন। তবে বিগ হাই রেজোলিউশন কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এই দূরত্ব ১০০ সেন্টিমিটার হতে পারে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভিন্ন
ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারের সামনে বসা, স্ক্রিনের দিকে তাকানো, অভ্যাস ইত্যাদি সবকিছুই ব্যক্তিবিশেষ আলাদা হয়। তাই আলাদাভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কে, কীভাবে পর্দার সামনে বসে কাজ করতে আরাম বোধ করেন। এর সঙ্গে হাত নাড়াচাড়া করার ভালো সুবিধা, যথেষ্ট জায়গা থাকে কি না সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন। তাছাড়া এক্ষেত্রে টেবিল এবং চেয়ারের উচ্চতাও লক্ষ্য রাখা জরুরি।
আলো বা লাইট নির্বাচন
অনেকেই কম্পিউটারে কাজ করার সময় অভ্যাসবশত ঘরের লাইটটি জ্বালিয়ে রাখেন। তবে বাইরে যথেষ্ট আলো থাকলে এর প্রয়োজন নেই। আবার অনেক অফিসেই মাথার ওপরে বিশাল টিউব লাইট থাকে, যাতে অনেকেরই অসুবিধা হয়। এক্ষেত্রে টেবিল লাইট ব্যবহার করুন।
মনিটরের ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট
মনিটরের ব্যাকগ্রাউন্ড আলোটি হালকা নীল হলে ভালো হয়। তবে মনিটরের পর্দাটি সবসময় পরিষ্কার রাখুন। এতে করে কাজ করতে সুবিধা হবে। কম্পিউটারে লম্বা টেক্স পড়া বা কম্পোজ করতে গেলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর কালো রং দিয়ে লেখা হয়। এতে চোখের ওপর চাপ কম পড়ে। প্রয়োজনে অক্ষরের সাইজ বড় করে নেওয়া যেতে পারে।
বিশ্রাম
একটানা কাজ না করে ঘণ্টাখানেক পর পর কয়েক মিনিট করে বিশ্রাম নিন। নতুবা নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য দু-চার মিনিট চোখ বন্ধ করে থাকা এবং জানালা দিয়ে অনেক দূরে তাকিয়ে থাকুন। কিংবা চাইলে ঘাড়টাকে এদিক-সেদিক ঘোরাতে পারেন। এতে করে কাজে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আরাম বোধ করবেন। সম্ভব হলে দাড়িয়ে একটু হাঁটাচলাও করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে
Leave a Reply