ডেইলি চিরন্তন:সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় শিল্পপতি রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আবদুল হাই ভারতের করিমগঞ্জ থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে সস্ত্রীক দেশে ফিরছিলেন। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, দুপুরে সিলেটের জকিগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ দেশে ফেরেন আবদুল হাই। ইমিগ্রেশনে দু’টি ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করে জকিগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র সুজ্ঞান চাকমা যুগান্তরকে জানান, আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার দু’টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। জকিগঞ্জ থেকে তাকে বিশ্বনাথে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে আদালতে হাজির করা হবে।
সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে বন্দোবস্ত নেন রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই।
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে।
গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের রায় দেন।
রায়ে ১৭টি নির্দেশনার মধ্যে এ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশও দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত এক আদেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
গত ১০ জুলাই রাগীব আলী ও ছেলেকে অভিযুক্ত করে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১০ আগস্ট দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পরদিন তারা ভারতে পালিয়ে যান।
এ অবস্থায় দুই আসামির অনুপস্থিতিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়।
Leave a Reply