তুমি তো স্মিত হেসে বলে দিলে,
-“ বিদায় বন্ধু বিদায় !”
আমিতো প্রস্তুত নই –
বিদায় জানাবো বলে তোমায়,
যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলে তুমি-
তার তো অনেক কিছু বাকী-
এখনো অনেক পথ হেঁটে যেতে হবে-
পৌঁছুতে হবে দিকচক্রবাল সীমান্তের –
কাছে। ঊষার অরুণ আলোয় রাঙ্গাতে –
হবে জগৎ সংসার।
তুমি ফলালে দিগন্ত জুড়া মাঠে –
সোনালী ফসল, বাতাসে দোলা দিয়ে
খেলা করে। মৌ মৌ গন্ধে ভরে যায়
মাঠ ঘাট, আকাশ বাতাস , ঘরের আঙ্গীনা-
জানান দিয়ে যায় – তৈরী হও
ফসল কাটার সময় এলো বলে।
এরি মধ্যে তুমি বলে দিলে – ‘ চলে যাবো ’।
বললেই ‘হল’! কে ছাড়বে তোমায়-
তুমি এসেছ বলে,হাজার লক্ষ মুখ-
চেয়ে আছে তোমর দিকে ।
ওরা বাচতে চায়-
তোমার কথায় ওরা মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়।
ওরা আছে নুতন ভোরের অপেক্ষায়।
আসা যাওয়া সেতো চিরন্তন,
সাধ নেই কারো – ভাঙ্গার এ নিয়ম ,
তবে তার ও তো সময় আছে-
যখন তখন অসময়ে চলে যাওয়া এ যে ছন্দপতন।
তোমার যাওয়া হবে না এখন!
অ-নে-ক কাজ পড়ে আছে-
কাঁটতে হবে সোনালী ধান
ভরতে হবে-গোলায়।
গড়তে হবে প্রাচীর –
দিতে হবে সুরক্ষা বলয় ।
বাঁধতে হবে -ঐক্যতানের সুর ।
শক্ত করে ধরতে হবে হাল
ছিঁড়তে হবে কুচক্রির জাল-
তুমি এখন একা আমার বন্ধু নও।
তুমি আমার থেকে হয়ে গেছো অনেকের দেশ জনতার, এই বাংলার- তার থেকে পৃথিবীর মানুষের।
তোমর এই উক্তি শুনে কাঁদছে সবাই।
কাঁদছে নদী , সাগর, মাঠ প্রান্তর বৃক্ষ মালা!
গান গায়না পাখী ভোর বেলায়,
অভিমান করে ফুল বলে – ফুটবে না সকাল সন্ধ্যায়।
ফিরিয়ে নাও তোমার কথা
বলোÑ থাকবে তুমি,তাদের কাছে,
আমার কাছে, আমাদের কাছে, মানুষের কাছে,
নদী সাগর মাঠ প্রান্তর বৃক্ষ রাজী পাকপাখালীর কাছে।
গাইবে গান জীবনের
নূতন ভোরের সোনালী দিনের।
বাঁধতে হবে তান ঐকতানের-এই বাংলায় প্রতি মানুষের
কন্ঠস্বরে ।
ভাঙ্গোঁ যত অনিয়মের বাধা শক্ত হাতে তোমার,
ফিরায়ে দাও অধিকার হারার অধিকার,
মুক্ত করো নিষ্পেষিতদের দুর্বৃত্তের করাল থাবা হতে
তোমার ন্যায় দন্ড দিয়ে যাহা জনগন তুলে দিল তোমারই হাতে।
এ গাড়ীতে তোমার হবে না যাওয়া
ফিরিয়ে দাও টিকিট।
বলো আমি আছি, আমি থাকবো-যতক্ষন আমার প্রযোজন আছে এই বাংলার মানুষের কাছে,
পৃথিবীর মানুষের কাছে।
Leave a Reply