নিখোজেঁর এক মাস পরও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ কলেজছাত্রী আঁখি আক্তারের (১৭)।
গত ৯ ডিসেম্বর সকালে সাভার শাহীবাগ এলাকায় স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়া অফিসে আসার পর থেকে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। সোমবার পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি বলে জানায় তার পরিবার।
আঁখি সাভার সিএফএম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার কালিনগর এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
সম্প্রতি দরিদ্র পরিবারের ওই মেয়েকে নায়িকা বানানোর কথা বলে গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার অজয় রায়ের বিরুদ্ধে।
দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান অজয় রায় এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
নিখোঁজ আঁখির বাবা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, আঁখিকে উদ্ধারের জন্য কললিস্ট বের করার কথা বলে প্রাথমিক খরচ বাবদ তার কাছ থেকে ১৮০০টাকা নিয়েছে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কবির হোসেন।
নিখোঁজের এক মাস পার হলেও আঁখিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি আরো অর্থ দাবি করে আসছেন ওই কর্মকর্তা বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
পরিবারের অভিযোগ, আঁখিকে নায়িকা বানানোর কথা বলে স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়া অফিসে ভর্তি করে অজয় রায়। কিন্তু এখন আঁখির কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো উপায় না পেয়ে আঁখির মা সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-১০১৬) করেন। এদিকে নিখোঁজ আঁখির বাবা নবীনগর র্যাব ক্যাম্পেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সাভার থানার এসআই কবীর হোসেন জানান, ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে নিখোঁজ আঁখিকে সন্ধানের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান জানান, কললিস্ট উদ্ধারের কথা বলে প্রাথমিক খরচ বাবদ আঁখির বাবার কাছ থেকে ১৮০০ টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিখোঁজ আখির সন্ধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
Leave a Reply