বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রফতানি দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে পণ্য রপ্তানিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার রাতে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এবং ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপাটনামে অনুষ্ঠিত পার্টনারশিপ সামিটের দ্বিতীয় দিনে ‘ইন্ডিয়ান’স ইন্টারগ্রেশন উইথ সাউথ এন্ড সাউইস্ট এশিয়া’ শীর্ষক ৮ নং প্লেনারি সেশনে বক্তৃতার সময় এ সব কথা বলেন।
ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারত অনেক বড় রাষ্ট্র, বাজারও অনেক বড়। ভারত বাংলাদেশকে তামাক ও মদ ছাড়া সকল পণ্য ডিউটি ও কোটা ফ্রি রফতানির সুবিধা প্রদান করেছে। কিন্তু শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাংলাদেশ আশানুরুপ রপ্তানি করতে পারছে না।
তিনি বলেন, প্রতিবেশি বড় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের প্রত্যাশা অনেক। পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। উভয় দেশ আলোচনায় বসলে চলমান সমস্যাগুলো নিরসন করা সম্ভব। বাংলাদেশ আশা করছে আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য জটিলতাগুলো দূর করা সম্ভব হবে। এজন্য ভারতকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শূন্যহাতে যুদ্ধবিধ্বদ্ধস্ত বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ২৫টি পণ্য বিশ্বের ৬৮টি দেশে রফতানি করে আয় করতো মাত্র ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পণ্য রফতানি করে আয় হচ্ছে ৩৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী অর্থ বছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ২০০৫-৬ সালে দেশের রফতানি ছিল মাত্র ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে রফতানি লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসবে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে। বাংলাদেশ শুধু তৈরি পোশাকের উপর সীমাবদ্ধ থাকবে না। সরকার ৭ম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক রফতানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি দেশের ঔষধ, জাহাজ তৈরি, আইটি, ফর্নিচার, কৃষিজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ সকল সেক্টরে রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
কসফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাষ্ট্রির সেক্রেটারি জেনারেল চন্দ্রজীত ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে প্লেনারি সেশনে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নির্মলা সিতারামান, নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গোচান ঠাকালী বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply