টানা তিন ম্যাচ জিতে স্বপ্নের মতো শুরু করেছিল সিলেট সিক্সার্স। সাদামাটা দল নিয়ে নাসিরদের এমন শুরুতে চোখ কপালে উঠেছিল অনেক দলেরই। যদিও শেষ পর্যন্ত জয়ের ধারা আর রাখতে পারেনি তারা। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে সিলেটে নিজেদের শেষ ম্যাচ হার দিয়ে হতাশার শুরু। এরপর ঢাকায় এসে এখনও জয়ের দেখা পায়নি সিলেট। চার ম্যাচের তিনটিতে হারের পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে একটি ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়েছে নাসিরের দল।
সোমবার সিলেট সিক্সার্সের প্রতিপক্ষ গেইল-ম্যাককালামদের রংপুর রাইডার্স। এই দলটির বিপক্ষেই জয়ে ফিরতে চায় সিলেট। দলটির পরামর্শক হয়ে আশা পাকিস্তানের সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনুস তেমন বার্তাই দিয়েছেন। রবিবার মিরপুরের একাডেমিতে অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াকার ইউনুস। তিনি জানান, দুর্দান্ত শুরুর পর তাদের বর্তমান দশার পেছনে ইনজুরি, ‘আমাদের দলটা অভিজ্ঞ। এখানে ব্রেসনান, লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটসহ কয়েকজন উঠতি খেলোয়াড়ও আছে। দলটা প্রতিভাবান তাতে কোনও সন্দেহ নেই। টুর্নামেন্টের শুরুটা দারুণ করেছিলাম। প্রথম তিন ম্যাচেই আমরা জিতেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরি আমাদের কিছুটা পেছনে ঠেলে দিয়েছে।’
ঢাকা পর্বে হতাশায় শুরু হলেও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিলেট। তেমন আভাস দিয়ে ওয়াকার বলেন, ‘লিয়াম প্লাঙ্কেট তার শতভাগ দিতে পারেনি। তবে আমরা কালকেই (সোমবার) ঘুরে দাঁড়াতে চাই। টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতেই আমরা এখানে রয়েছি। প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য নতুন। কালকের ম্যাচে সিলেট আরও ভয়ংকর রুপে হাজির হবে।’
টুর্নামেন্টের শুরুতে সিলেটে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার হান্ট প্রোগ্রামে পুরস্কার বিতরণ করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওয়াকার ইউনুস। টুর্নামেন্টের মাঝপথে আবার হলেন সিলেটের পরমার্শক। নিজের মুখেই এই দায়িত্বের কথা জানালেন পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার, ‘আমি তরুণদের সাহায্য করতেই এখানে এসেছি। উঠতি তরুণ যাদের সহযোগিতার প্রয়োজন, পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টকেও। যদি আমি কোনও কাজে আসি, সেটা দু্ই পক্ষের জন্যই ভালো।’
জাতীয় দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে ওয়াকার ইউনুসের। সবমিলিয়ে বোলার ওয়াকার সিলেট সিক্সার্সের ব্যাটসম্যানদেরও সাহায্য করছেন, ‘আমি ফাস্ট বোলার ও ব্যাটসম্যানদের সাহায্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর আগেও আমি এই কাজে সম্পৃক্ত ছিলাম। তাই কখন কী করতে হবে, সেটা আমি ভালো করেই জানি।’
Leave a Reply