বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে ডমিঙ্গোর দায়িত্ব পাওয়ার বড় একটি কারণ ছিল তার ‘প্যাশন’। কোচ পদপ্রার্থী হিসেবে সাক্ষাৎকার দিতে এসে যে উপস্থাপনা তিনি দেখিয়েছিলেন, তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি দারুণ ‘প্যাশন’ দেখতে পেয়েছিলেন বিসিবি কর্তারা। সেই প্যাশনের উৎস কি? প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই নতুন কোচের দিকে ছুটে গেল সেই প্রশ্ন।
ডমিঙ্গো উদাহরণ দিলেন এই সংবাদ সম্মেলন দিয়েই। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এমনিতেই যে কোনো আয়োজনে সংবাদকর্মীদের কমতি থাকে না। বুধবার ছিল জাতীয় দলের নতুন কোচ ও বোলিং কোচের প্রথম সংবাদ সম্মেলন। তাই যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না কক্ষে।
নতুন কোচ জানালেন, ক্রিকেটের প্রতি এই দেশের লোকের এত আগ্রহ দেখেই তার ভেতরে আগ্রহ জেগেছে এখানে কাজ করার।
“এই নিয়ে আমি বাংলাদেশে সপ্তমবার এলাম। প্রথমবার এসেছিলাম সেই ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে (কোচ হিসেবে)। প্রথম যে ব্যাপারটি আমাকে স্পর্শ করেছে, বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে লোকের যে তীব্র আগ্রহ। আজকে এখানে যেমন দেখা যাচ্ছে।”
“দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো বড় ম্যাচের আগেও সংবাদ সম্মেলনে হয়তো ৮-৯ জন রিপোর্টার দেখা যায়। এখানে আজকে যত লোক, আমি জীবনেও এত রিপোর্টার দেখিনি। গতকালকে বিমানবন্দরে মনে হয় শখানেক রিপোর্টার ছিল। পুলিশকে গিয়ে সামলাতে হয়েছে। পাগলাটে ব্যাপার-স্যাপার। এখানে ক্রিকেটের প্রতি এই আবেগই আমাকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করে। ক্রিকেটের তুমুল জোয়ার এখানে। এটিই আমাকে বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।”
বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দুই বছরের চুক্তির পর মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় এসেছেন ডমিঙ্গো। প্রথম দিনে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয় হয়েছে। আপাতত চলছে ক্রিকেটারদের জিম ও রানিং সেশন। স্কিল ট্রেনিং শুরু হলেই ডমিঙ্গোর কাজও শুরু হয়ে যাবে।y
Leave a Reply