কেউ বলছেন লকডাউন শিতিল না করে যেভাবে আছে সেভাবে রাখার জন্য। আবার কেউ বলছেন,লকডাউন সম্পূর্ন বাতিল করার জন্য।
সরকার ও পড়েছে মহা বিপদে কার কথা শুনবে।
কিছু মানুষতো লেগেই আছে সরকারের সমালোচনা করার জন্য,ডানে গেলে বলে বায়ে ভাল, আর বায়ে গেলে বলে ডানে ভালো।
আমরা যদি নিজে নিজের ভাল বুজতাম তাহলে লকডাউন থাকলেই কি আর না থাকলেই কি। আমাদের মতো নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে কঠোর লকডাউন কোনভাবেই সম্ভব নয়। উপায় একটাই যার যার অবস্থান থেকে নিজেকে সচেতন থাকতে হবে।
লকডাউন এর ব্যাপারে সরকারকে ১৮কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
আর আমরা যে যার মতো করে সমালোচনা করতে থাকি।
যাদের অর্থনৈতিক সমস্যানেই তাদের কাছে হয়তো লকডাউনের সময়টা পিকনিকের মতো মজাকরেই কাঠে।
আর যাদের নুন আনতে পানতা ফুরাই অবস্তা,তাদের কাছে লকডাউন বুকের মধ্য এক কঠিক বিষফোড়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
আর আমরা নিজের ভালমন্দ বুজব কি করে, কোথা ও যদি একটা ২শ পাওয়ারের বাল্ব লাগিয়ে আলো জালানো হয় সেটাকেই বলি উন্নয়ন, কিন্ত বছরের প্রথমদিন কোটি ছাত্রের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলেদেয়া আমরা চোঁখে দেখিনা।
কাউকে ২শ টাকা দিয়ে একটি মাছ কিনে দান করাকে আমরা অনেক বড় করে দেখি,কিন্ত মাছ ধরা শিখিয়ে দেয়া যাতে সারা জীবন সে যেন মাছ ধরে খেতে পারে সেটাকে আমরা অবহেলা করি।
আসলে সত্যি কথা বলতে কি স্বাধিনতার ৫০বছর পরও আমাদের মধ্যে দেশ প্রেমের বড়ই অভাব,আমাদের মধ্যে শতভাগ এখনও মনে হয় দেশকে ভালবাসতে পারিনি।
আমাদের দেশে এখনও কিছু মানুষ পাকিস্থানকে নিজের দেশ ,আর কিছু মানুষ ভারতকে নিজের দেশ মনে করে,এই দুই শ্রেনির মানুষ চিরতরে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত, দেশকে উন্নয়নের চুড়ায় নিয়ে পৌছাতে সরকারকে অনেক বাধা বিপত্তি,আলোচনা সমালোচনায় পড়তে হবে।
লকডাউন দেয়া বা তুলে নেয়া মানে এই নয় যে আমরা এখনই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো।
আর কে স্বাস্থবিধি বা লকডাউন মানলো বা না মানলো সেটা না ভেবে আপনি আমি মেনে চলি, তাহলে হয়তো দেখবেন আমরা করোনাকে জয় করতে পেরেছি।
মতামত একান্ত আমার ব্যাক্তিগত। -মোঃ ইকবাল হোসেন আফাজ।
Leave a Reply