মৌসুমের শুরুতেই সিলেটে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় মরে যাওয়া চা বাগানগুলো সজীবতা ফিরে পেয়েছে। বাগানে দেখা দিয়েছে সবুজের সমারোহ। সিলেটের বাগানগুলোতে নতুন পাতা গজাতে শুরু করেছে এবং তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে উৎপাদক মহল মনে করছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পাতা উত্তোলন শুরু করা যাবে। গত মৌসুমে সিলেটে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদিত হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে এবারও চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বছরের শুরুতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ-হরতালে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির শিকার হয় চা শিল্প। চা পরিবহনকারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে প্রতি সপ্তাহের চা নিলাম। তবে মার্চ থেকে অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে চায়ের বাজার।
চা পাতা সংগ্রহের মৌসুম শুরু হয় মার্চের শেষের দিকে। প্রতি বছর তিন মাস পাতা সংগ্রহ বন্ধ থাকে। তখন চা বাগানের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে যন্ত্রপাতি সারিয়ে নেয়া হয়, যাতে মৌসুমে উৎপাদনের ব্যাঘাত না ঘটে। এরই মধ্যে বিভিন্ন চা বাগানের যন্ত্রপাতি সারিয়ে নেয়া হয়েছে। যেসব বাগানে কাটিং করা হয়েছিল, সেখানে প্রচুর নতুন পাতা গজিয়েছে। পাতা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাক্টরিও চালু করা হবে। শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক হারুন অর রশিদ সরকার জানান, গত মৌসুমে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ কোটি কেজি। উৎপাদন হয় ৬ কোটি ৪০ লাখ কেজি, যা ছিল বাংলাদেশে চা উৎপাদনের রেকর্ড। তবে চলতি বছর চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এখনও ঠিক করা হয়নি। বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ এনায়েত উল্লাহ বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় শিগগিরই রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি ২০১৬ সালেই বাংলাদেশ চা আমদানিকারক দেশে পরিণত হবে। এসব বিবেচনায় ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে রফতানি করা সম্ভব হবে
Leave a Reply