রাজশাহীতে পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে তিন কিশোরী। তাদের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আখতারী বেগম (৫০) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই তিন কিশোরীকে মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পাচার করা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাদের হাজির করা হয়। এদিকে কক্সবাজারের চার থানা থেকে নারীসহ পাঁচ মানবপাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, পরিবারের অভিযোগ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর ডাইকিনি গ্রামে রজব আলী ওরফে মজনুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তিন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৮ মে তিন কিশোরীকে গোদাগাড়ীর কালীগঞ্জ থেকে তাদের ঢাকা পাঠায় আটক আখতারী বেগম। পরে তাদের গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার রজব আলীর বাড়িতে আটকে রাখা হয়। এরই মধ্য ওই তিন কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ট্র্যাকিং করে গাজীপুর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ জানান, শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে সাবরাং কচুবুনিয়া এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত মানবপাচারকারী ফারুক আহমদকে (৩৫) আটক করে টেকনাফ থানার পুলিশ। এর আগে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে টেকনাফের মাদারবুনিয়া এলাকা থেকে পাচারকারী আবদুল জলিলকে আটক করা হয়। একই দিন মহেশখালী কুতুবজোম খন্দকারপাড়া থেকে হোসনে আরা বেগম নামের এক নারী পাচারকারীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া কুতুবপালং এলাকা থেকে মোহাম্মদ মোস্তফা ও মোহাম্মদ আলম নামের দুই পাচারকারীকে আটক করে রামু থানার পুলিশ।
Leave a Reply