শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জিয়াউর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আজ একথা বলেন।
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সাহারা খাতুন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি, মাহবুব আলী এমপি, এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আবু, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নজিবুল্লাহ হিরুসহ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুর রহমান হাওলাদার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
আমির হোসেন আমু আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার পর কারা এ দেশে রাজনৈতিকভাবে বেনিফিসিয়ারী তা আমাদের সকলেরই জানা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিায় ধাপে ধাপে তার লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। পাকিস্তানীরা কখনও আমাদের মঙ্গল চায়নি। তার ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা ও পাক দোসররা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবার হত্যা করেছে। হত্যায় জড়িতরা ভেবেছিলে এর মধ্য দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতার পরও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের উন্নয়ন বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ২০২১ সালে নয় ২০১৮ সালের মধ্যেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু এদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তবায়িত হলেই সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়া হবে।
আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, একজন নেতার মধ্যে যতগুলো গুন থাকা দরকার তার সবই বঙ্গবন্ধুর মাঝে ছিলো। বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বে অমরত্ব লাভ করেছেন। তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সব ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হবে।
আইনমন্ত্রী তার বক্তৃতায় যদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরানোর বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, জনগণের ইচ্ছার বাইরে কিছু হবে না। তিনি বলেন, প্রয়োজন যদি হয়, জনগণ যা চায় সেটাকে সফল করার জন্য আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করব। ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধান বিচারপতি সেটা শুনবেন, এই বিশ্বাস আমার আছে।
ট্রাইব্যুনাল সরানোর ইস্যুর অবতারণা করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করা আমাদের নির্বাচনী ম্যান্ডেট ছিল। আমরা একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করছি। আজকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আমাদের এই যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়ার জন্য একটা নোটিশ আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছেন। ট্রাইব্যুনাল এখানে স্থাপনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের সময় ২০১০ সালে আমরা অনেক জায়গা খোঁজ করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা পুরাতন হাইকোর্ট ভবনকেই অত্যন্ত সুবিধাজনক জায়গা ও নিরাপদ জায়গা মনে করে সুপ্রিমকোর্টের পারমিশন নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছি।
তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্টি। দেশের মানুষ আজ জঙ্গি নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ। দেশের চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
Leave a Reply